পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ *মধুপুর। ২৬ নভ. ১৯০২ ] মধুপুর । ங் বুধবার । ভাই বিবি, তোমার চিঠি কাল পেয়েছি । যদিও যথেষ্ট প্রস্তুত ছিলুম তবু প্রথম ৩ লাইন পড়ে থমকে রইলুম। যে দিন শেষ দেখে এলুম সে দিনই আমার অন্তরাত্মা ডেকে বলেছি জ্ঞান আর ফিরবে না, তোমাদেরও সে কথা অনেকবার বলেছি । সকলেই দেখত, আমিও দেখতুম আমার কেন খারাপ লাগত জানিনে । যাকৃ, যা আশঙ্কা করে বুক কেঁপে উঠত সেটা হ’য়ে গেছে । কাল তোমার চিঠি পাবার পর থেকে কি ভাবে দিন রাত কাটাচ্ছি ভগবান জানেন । আমার এ বেদন বুঝবার লোক কেউ নেই যদি স্বর্গগত আত্মার আমাদের সঙ্গে কোন সংশ্ৰব থাকে যদি বোঝবার ক্ষমতা থাকে তা হলে তিনি বুঝবেন । শমী আমার বড় আদরের— কাকীমা বলতেন, “শমীর উপর তোমার অনেক দাবী আছে– বড় হ'লে তাকে বুঝিয়ে দেব ।” ইচ্ছে করছে দৌড়ে বেলা শমীদের কাছে যাই । ওদের সঙ্গে এক সঙ্গে র্তার অনেক স্নেহ ভালবাসা ভোগ করেছি, চোখের জলটাও ওদের সঙ্গে ফেলতে পারলে অনেক আরাম করত । বহুদিন তার সঙ্গ ছেড়েছি, কত দূরে দুরে থেকেছি তবু মনে করতুম আমার একটা আশ্রয় আছে নির্ভর করবার লোক আছে । কথাটা বড় অস্বাভাবিক শোনায় আমি তার কে ?— কিন্তু তবু কি আশ্রয় ছিল কেমন করে বুঝিয়ে বলব। এবারে বোলপুরে গিয়ে আমাকে লিখেছিলেন ‘অমলা, আমার আশ্রম একবার দেখে যেয়ো ।” আমি বলেছিলুম “দেখব বই কি, আপনার আশ্রমে আমার জন্য একটু স্থান রাখবেন কি ? যদি কোন দিন অন্য কোন খানে স্থান না পাই, আপনার কাছে যাব।” তিনি লিখেছিলেন, “তুমি কখন বিশ্বাস কর আমার কাছে X > 8