পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহের তিন মাস পরে আরেকটি ঘটনা না বলে পারছি না । ন’পিসিমার প্রথম কন্যা হিরন্ময়ীর বিবাহ। গায়েহলুদে দুপুরে আমরা নিমন্ত্রণে গিয়েছি। মধ্যাহ্নভোজনে বসতে প্রায় একটা বেজে গেল । খেয়ে উঠতে দুটো । সেই সময়ে কলকাতা মিউজিয়মে প্রদর্শনী খুলেছে নূতন । সেই প্রথম কলকাতায় প্রদর্শনীর প্রচলন। তিনটের সময় প্রদর্শনীতে যাবার জন্তে সকলে প্রস্তুত, আমরাও বাড়ি ফেরবার মুখে । মেজো কাকিমার সঙ্গে কাকিমাও যাবেন প্রদর্শনীতে। বাসন্তী রঙের জমিতে লাল ফিতের উপর জরির কাজ করা পাড় বসানো শাড়ি পরেছেন কগকিমা। বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। কথায় বলে বিয়ের জল গায়ে পড়লে মেয়েরা সুন্দর হয়ে বেড়ে ওঠে । সেই রোগা কাকিম। দিব্যি দোহারা হয়ে উঠেছেন তখন । রবীন্দ্রনাথ কোথা থেকে এসে জুটলেন সেই সময় সেইখানে হাতে একটা প্লেটে কয়েকটা মিষ্টি নিয়ে খেতে খেতে । কাকিমাকে স্থসজ্জিত বেশে দেখে দুষ্টুমি করে গান জুড়ে দিলেন তাকে অপ্রস্তুত করবার জন্ত্যে— হৃদয়কাননে ফুল ফোটাও, আধো নয়নে সখি, চাও চাও ! এমন চড়া স্বরে ধরেছেন যে জোর পৌছে যায় সবার কানে— ধীরি ধীরি প্রাণে আমার এসে হে, মধুর হাসিয়ে ভালোবেসে হে । হৃদয়কাননে ফুল ফোটাও, আধো নয়নে সখি, চাও চাও— পরাণ র্কাদিয়ে দিয়ে হাসিখানি হেসে হে । “রবীন্দ্রনাথের বিবাহবাসর” ‘সমকালীন’, বৈশাখ ১৩৬৪, পৃ. ৯-২১ У 8 o