পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাউকে কাছে যেতে।" প্রায় সারারাত কবি ছাদে পায়চারি করে কাটিয়েছেন শোনা গেল। করি পিতা মহর্ষিদেব তখন জীবিত । পুত্রের পত্নীবিয়োগের সংবাদে তিনি বলেন, “রবির জন্য আমি চিন্তা করি না, লেখাপড়া নিজের রচনা নিয়ে সে দিন কাটাতে পারবে । ছোটো ছেলেমেয়েগুলির জন্যই দুঃখ হয়।” ভাগ্যবর্তী কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী শ্বশুর স্বামী পুত্র কন্যা জামাতা পরিবেষ্টিত সাজানো সংসার ফেলে গেলেন— কবির সংসার গেল ভেঙে। সেই থেকে নিজের ভাঙা সংসার টেনে নিয়ে চলে আসছেন কবি এ পর্যন্ত । অসংখ্য ভাঙাচোরার বোঝা বুকে নিয়ে কবির সেই ভাঙা সংসার আজ বিশ্বভারতীর বিরাট পর্বে হতে চলেছে পরিসমাপ্ত । “সংসারী রবীন্দ্রনাথ” ‘প্রবাসী, পৌষ ১৩৬৯, পৃ. ৩০২-০৭ ৬. উৰ্মিলা দেবী আমার দিদি প্রায়ই জোড়ার্সাকোয় যেতেন, কখনো একসঙ্গে দু-তিন মাসও থেকেছেন । আমার ভারি হিংসে হত, কিন্তু কিছু বলার সাহস ছিল না। তাই তিনি যেদিন বললেন “যাবি আমার সঙ্গে জোড়াসাকোয় ?” সেদিন যেন আকাশের চাদ হাতে পেলুম। কতকালের অভীপিত দিন আজ । আযি যাব ঠাকুরবাড়ি । সে-বাড়ির কত কথা কত গল্প যে শুনেছি তার ঠিক নেই। সে-বাড়ির মেয়ে-বউরা অপারার মতো দেখতে, তারা দুধ দিয়ে স্বান করেন, ক্ষীর সর ছানা বেটে রূপটান মাখেন– কত গয়না, কত কাপড় যে আটপৌরে পরেন তার ঠিক নেই। সে-বাড়ি যাব, তাদের-সব দেখব, আবার সঙ্গিনীদের কাছে গল্প করব । আর চাই কী । সবচেয়ে বড়ো কথা 〉8b