পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১. সত্যরঞ্জন বসু --শিলাইদহ হইতে বিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশের পর শান্তিনিকেতনে আসিলেন সপরিবারে । কবি-গৃহিণী মৃণালিনী দেবী নিজে রন্ধন করিয়া অন্তকে খাওয়াইতে বড়োই ভালোবাসিতেন । বড়ো ছেলে রথীন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ের ছেলেদের সঙ্গে থাকে, খায় । তাই তিনি বিদ্যালয়ের সকল ছেলের জন্যই রোজ বৈকালিক আহারের ব্যবস্থা করিতেন । কিন্তু তিনি অসুস্থ হইয়া পড়িলেন। শরীর যখন খুবই খারাপ হইয়া পড়িল কবি সকলকে লইয়৷ কলিকাতা আসিলেন । ‘ত্রিপুরায় রবীন্দ্রস্মৃতি ‘রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা’, পৃ. ৮৬ ব্রজেন্দ্রকিশোর বলিলেন, “সে এক অপরূপ অভিজ্ঞতা— অনুভূতিও।” কবি-গৃহিণীর যত্ন ও আদর তিনি ভুলিতে পারেন না । কতরকম রান্না করিয়া তাহাকে খাওয়াইতেন যেন নিজের ছেলেটি । কবিও মাঝে মাঝে ফরমাইশ দিতেন নানারকম তরকারীর । আরও চমৎকার, রান্নার পদ্ধতিও বাংলাইয়া দিতেন, কবি, গৃহিণীকে— বলিলেন ব্রজেন্দ্রকিশোর। কি আনন্দে নিরঙ্কুশভাবে শিলাইদহের দিনগুলি তিনি কাটাইয়াছেন তাহারই স্মৃতি আজ র্তাহাকে মোহিত করে । বিশেষ করিয়া স্বল্প মৃদুভাষী কবি গৃহিণীর আপন-করা ব্যবহারে তিনি পরিবারের একজন হইয়া পড়িয়াছিলেন । ‘ত্রিপুরায় রবীন্দ্রস্তুতি’ ‘রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা’, পৃ. ৭৮ ) teసా