ভাস্চে, মাঝে মাঝে জঙ্গল হয়েছে— পাড়াগেঁয়ে পুকুরের যে একরকম গন্ধ পাওয়া যায়, সেইরকম গন্ধ— তা ছাড়া রাত্তিরে বোধ হয় যথেষ্ট মশা পাওয়া যাবে। নিতান্ত অসহ্য হলে এইখান থেকেই কলকাতায় পালাব। আমার মিষ্টি বেলুরাণুর চিঠি পেয়ে তখনি বাড়ি চলে যেতে ইচ্ছে করছিল। আমার জন্যে তার আবার মন কেমন করে— তার ত ঐ একটুখানি মন, তার আবার কি হবে? তাকে বোলো আমি তার জন্যে অনেক “অড্” আর জ্যাম্ নিয়ে যাব। কাল রাত্তিরে আমি খোকাকে স্বপ্ন দেখেছি— তাকে যেন আমি কোলে নিয়ে চট্কাচ্চি, বেশ লাগ্চে। সে কি এখন কথাবার্ত্তা বল্তে আরম্ভ করেছে- আমার ত মনে হচ্চে বেলা ওর বয়সে বিস্তর বোলচাল বের করেছিল। তোমাদের ওখেনে শীত নেই? আমাকে ত শীতে ভারি কাঁপিয়ে তুলেছে। কেবল কাল রাত্তিরে কোন্ একটা বদ্ধ জায়গায় নৌকো রেখেছিল, আর সমস্ত পর্দ্দা ফেলেছিল— তাই গরমে জেগে উঠেছিলুম— তার উপরে আবার কানের কাছে একদল লোক সেই এক্টা দুটো রাত্তিরে গান জুড়ে দিলে “কত নিদ্রা দিবে আর উঠ উঠ প্রাণপ্রিয়ে!” প্রাণপ্রিয়ে যদি কাছাকাছির মধ্যে থাক্ত তা হলে বোধ হয় চেলা কাঠের বাড়ি পিটোত। মাঝিরা তাদের ধম্কে থামিয়ে দিলে, কিন্তু আমার মাথায় ক্রমাগতই ঐ লাইনটা ঘুরতে লাগল “উঠ উঠ প্রাণপ্রিয়ে”— মাথার মধ্যে অসুখ কর্ত্তে লাগ্ল— শেষকালে পর্দ্দা উঠিয়ে জান্লা খুলে শেষ রাত্তিরে একটুখানি ঘুমোতে পাই। তাই আজ কেবল
১০