লিখেচি। কিন্তু আজ থেকে নিয়ম করলুম চিঠির উত্তর না পেলে আমি চিঠি লিখব না। এ রকম করে চিঠি লিখে লিখে কেবল তোমাদের অভ্যাস খারাপ করে দেওয়া হয়— এতে তোমাদের মনেও একটুখানি কৃতজ্ঞতার সঞ্চার হয় না। তুমি যদি হপ্তায় নিয়মিত দুখানা করে চিঠিও লিখ্তে তা হলেও আমি যথেষ্ট পুরস্কার জ্ঞান করতুম। এখন আমার ক্রমশঃ বিশ্বাস হয়ে আস্চে তোমার কাছে আমার চিঠির কোন মূল্য নেই এবং তুমি আমাকে দু ছত্র চিঠি লিখ্তে কিছুমাত্র কেয়ার কর না। আমি মূর্খ কেন যে মনে করি তোমাকে রোজ চিঠি লিখলে তুমি হয়ত একটু খানি খুসি হবে এবং না লিখলে হয়ত চিন্তিত হতে পার, তা ভগবান্ জানেন। বোধ হয় ওটা একটা অহঙ্কার। কিন্তু এ গর্ব্বটুকু আর ত রাখতে পারলুম না। এখন থেকে বিসর্জন দেওয়া যাক্। আজ সন্ধে বেলায় শ্রান্ত শরীরে বসে বসে এই রকম লিখলুম, আবার হয়ত কাল দিনের বেলায় অনুতাপ হবে, মনে হবে পৃথিবীতে পরের কাজ নিয়ে পরকে ভর্ৎসনা করার চেয়ে নিজের কাজ নিজে করে যাওয়াই ভাল। কিন্তু একটু সুযোগ পেলেই পরের ত্রুটি নিয়ে খিটিমিটি করা আমার স্বভাব এবং তোমার অদৃষ্টক্রমে তোমাকে চিরজীবন এটা সহ্য করতে হবে। ভর্ৎসনাটা প্রায় চেঁচিয়ে করি আর অনুতাপটা মনে মনে করি, কেউ শুন্তে পায় না।
১৬