১১
[শিলাইদহ। ২০ জুলাই ১৮৯২]
ওঁ
ভাই ছুটি—
আজ আর একটু হলেই আমার দফা নিকেশ হয়েছিল। তরীর সঙ্গে দেহতরী আর এক্টু হলেই ডুবেছিল। আজ সকালে পাণ্টি থেকে পাল তুলে আছিলুম — গোরাই ব্রিজের নীচে এসে আমাদের বোটের মাস্তুল ব্রিজে আট্কে গেল— সে ভয়ানক ব্যাপার— একদিকে স্রোতে বোটকে ঠেল্চে আর এক দিকে মাস্তুল ব্রিজে বেধে গেছে— মড়মড় মড়মড় শব্দে মাস্তুল হেল্তে লাগ্ল একটা মহা সর্ব্বনাশ হবার উপক্রম হল এমন সময় একটা খেয়া নৌকো এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেল এবং বোটের কাছি নিয়ে দুজন মাল্লা জলে ঝাঁপিয়ে সাঁৎরে ডাঙ্গায় গিয়ে টান্তে লাগ্ল— ভাগ্যি সেই নৌকো এবং ডাঙ্গায় অনেক লোক সেই সময় উপস্থিত ছিল তাই আমরা উদ্ধার পেলুম, নইলে আমাদের বাঁচবার কোন উপায় ছিল না— ব্রিজের নীচে জলের তোড় খুব ভয়ানক— জানিনে, আমি সাঁৎরে উঠতে পারতুম কি না কিন্তু বোট নিশ্চয় ডুব্ত। যাত্রায় দু তিনবার এই রকম বিপদ ঘটল। পাণ্টিতে যেতে একবার বটগাছে বোটের মাস্তুল বেধে গিয়েছিল সেও কতকটা এই রকম বিপদ— কুষ্টিয়ার ঘাটে মাস্তুল তুলতে গিয়ে দড়ি ছিঁড়ে মাস্তুল পড়ে গিয়েছিল আর একটু হলেই ফুলচাঁদ মারা গিয়েছিল।— মাঝিরা বল্চে এবার অযাত্রা হয়েছে।— খুব
১৯