২২
[কলকাতা। ১৭ ডিসেম্বর ১৯০০]
ওঁ
ভাই ছুটি
তোমার সন্ধ্যা বেলাকার মনের ভাবে আমার কি কোন অধিকার নেই? আমি কি কেবল দিনের বেলাকার? সূর্য্য অস্ত গেলেই তোমার মনের থেকে আমার দৃষ্টিও অস্ত যাবে? তোমার যা মনে এসেছিল আমাকে কেন লিখে পাঠালে না? তোমার শেষের দু চার দিনের চিঠিতে আমার যেন কেমন একটা খট্কা রয়ে গেছে। সেটা কি ঠিক analyze করে বলতে পারিনে কিন্তু একটা কিসের আচ্ছাদন আছে। যাক্ গে! হৃদয়ের সূক্ষ্মতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করাটা লাভজনক কাজ নয়। মোটামুটি সাদাসিধে ভাবে সব গ্রহণ করাই ভাল।
আজ নীতু ভাল আছে। অল্প জ্বর আছে— প্রতাপবাবু বলেন অমাবস্যাটা গেলে সেটা ছেড়ে যেতেও পারে। জ্বরটা গেলেই তাঁর মতে বিলম্ব না করে মধুপুরে পাঠিয়ে দেওয়াই কর্ত্তব্য। তাই ঠিক করেছি। লিভারের আয়তন এবং বেদনা অনেকটা কমে এসেছে।
কাল রাত্রে প্রায় সমস্ত রাত ধরে স্বপ্ন দেখেছি যে তুমি আমার উপরে রাগ করে আছ এবং কি সব নিয়ে আমাকে বক্চ। যখন স্বপ্ন বই নয় তখন সুস্বপ্ন দেখলেই হয়— সংসারে জাগ্রত অবস্থায় সত্যকার ঝঞ্ঝাট অনেক আছে— আবার মিথ্যাও যদি অলীক ঝঞ্ঝাট বহন করে আনে তাহলেত আর
৪০