পারা যায় না। সেই স্বপ্নের রেশ নিয়ে আজ সকালেও মনটা কি রকম খারাপ হয়ে ছিল। তার উপরে আজ সমস্ত সকাল ধরে লোকসমাগম হয়েছিল— ভেবেছিলুম ৭ই পৌষের লেখাটা লিখ্ব তা আর লিখ্তে দিলে না। সকালে নাবার ঘরে দুটো নৈবেদ্য লিখ্তে পেরেছিলুম।
২৩
[কলকাতা। ২০ ডিসেম্বর ১৯০০]
ওঁ
ভাই ছুটি
বড় হোক্ ছোট হোক্ ভাল হোক্ মন্দ হোক্ একটা করে চিঠি আমাকে রোজ লেখনা কেন? ডাকের সময় চিঠি না পেলে ভারি খালি ঠেকে। আজ আবার বিশেষ করে তোমার চিঠির অপেক্ষা করছিলুম— রথী আস্বে কিনা তোমার আজকের সকালের চিঠিতে জানতে পারব মনে করেছিলুম। যাই হোক্ চিঠি না পেলে কি রকম লাগে তোমাকে দেখাবার ইচ্ছা আছে। কাল বিকালে আমরা বোলপুরে চলে যাচ্চি অতএব এ চিঠির উত্তর তোমাকে আর লিখ্তে হবে না— একদিন ছুটি পাবে। রবিবার সকালে এসে আশা করি তোমার একখানা চিঠি পাওয়া যাবে। শনিবারে আমরা শান্তিনিকেতনে থাক্ব, সেদিন আমিও চিঠি লিখ্তে সময় পাব না।
৪১