পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏬ চিঠিপত্র মধ্যে যে সমস্ত ওজর অাছে তারও একটা সদ্বিচার প্রার্থনা করে । এর মধ্যে করুণরস এবং অশ্রুজল যথেষ্ট আছে, অনেকে হয় ত বাড়ি ঘর দোর নিলেম করে সর্বস্বাস্ত হতে বসেছে কিন্তু এতে স্থর বসিয়ে অপেরা হবার যে নেই– কিন্তু নলিন নয়নের কোণে একটুখানি ছলছল করে আস্থক দেখি অমনি কবির কবিতা গাইয়ের গান বাজিয়ের বাজনা সমস্ত ধ্বনিত হয়ে উঠবে, অমনি দর্শক শ্রোতা এবং পাঠকের বক্ষস্থল অশ্রুজলে ভেসে যাবে। এমনি এই সংসার! সমুদ্রতার এবং সমুদ্রতরঙ্গের উপর যখন কবিতা লিখচি তখন আর কাঠ। বিঘের জ্ঞান থাকে না, তখন অনন্ত সমুদ্র অনন্ত তীর চোদ অক্ষরের মধ্যে । আর সেই সমুদ্রের ধারে একটি ছোট্ট বাঙ্গ লা বানাতে যাও, তখন এঞ্জিনিয়র কণ্টাক্টর এষ্টিমেন্টু চিন্তা পরামর্শ ধার এবং টোয়েলভ পার্সেণ্ট সুদ– তার উপরে আবার কবির স্ত্রীর পছন্দ হয় না, লোকসান বোধ হয়—স্বামীর মস্তিষ্কের অবস্থার উপর সন্দেহ উপস্থিত হয়। কবিত্ব এবং সংসার এই দুটোর মধ্যে বনিবনাও আর কিছুতে হয়ে উঠল না দেখচি । কবিত্বে এক পয়সা খরচ নেই ( যদি না বই ছাপাতে যাই ) আর সংসারটাতে পদে পদে ব্যয়বাহুল্য এবং তর্কবিতর্ক । এই রকম নানা চিন্তা করচি এবং খালের মধ্যে দিয়ে বোট টেনে নিয়ে যাচ্চে— আকাশে ঘননীল মেঘ করেচে– ভিজে বাদুলার বাতাস দিয়েছে, স্থৰ্য্য প্রায় অস্তমিত— পিঠে একখানি শাল চাপিয়ে যোড়াসাকোর ছাত আমার সেই দুটো লম্বা কেদার এবং সাৎলাভাজার কথা