পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ২৩ কৰ্ত্তব্য করে যেতে হবে— তারই মধ্যে যতটা ভাল করা যায় তা ছাড়া মানুষ আর কি করতে পারে বল। অসন্তোষকে মনের মধ্যে পালন কোরে না ছোট বেী— ওতে মন্দ বই ভাল হয় না। প্রফুল্ল মুখে সন্তুষ্ট চিত্তে অথচ একটা দৃঢ় সঙ্কল্প নিয়ে সংসারের ভিতর দিয়ে যেতে হবে— আমি নিজে ভারি অসন্তুষ্ট স্বভাব, সেই জন্যে আমি অনেক অনর্থক কষ্ট পাই— কিন্তু তোমাদের মনে অনেকখানি প্রফুল্লতা থাক। ভারি আবশ্যক । নইলে সংসার বড় অন্ধকার হয়ে আসে । যা চেষ্টা করবার তা যত দূব সাধ্য করব— কিন্তু তুমি মনে মনে অস্থখী অসন্তুষ্ট হয়ে থেকে না ছুটি । জান ত ভাই আমার খুৎখুতে স্বভাব, আমাৰ নিজেকে ঠাণ্ড করতে যে কত সময় নির্জনে বসে নিজেকে কত বোঝাতে হয় তা তুমি জান না— তুমি আমার সেই খুংখুতে ভাবট। দূর করে দিয়ে, কিন্তু তুমি আবার তাতে যোগ দিয়ে না। যদি তোমরা ইতিমধ্যে ছেড়ে থাকে। তা হলে ত এবার কলকাতায় গিয়ে তোমার সঙ্গে দেখা হবে— চেষ্টা করব উড়িষ্যায় যদি আমার সঙ্গে নিয়ে যেতে পারি। সে জায়গাটা ভারি স্বাস্থ্যকর । আমি বাবামশায়কে আমার ইচ্ছে কতকটা জানিয়ে রেখেচি তিনিও কতকটা বুঝেচেন— আর দুই একবার বল্পে কিছু ফল হতেও পারে—কিন্তু অণগে থাকতে বেশি আশা করে বস। কিছু না । আমার মনে হচ্চে হতে করতে এ চিঠিটাও তুমি সোলাপুর অঞ্চলে পাবে । আজ যাব কাল যাব করে নির্দিষ্ট দিনের পরেও নিদেন তোমাদের দিন আগষ্টেক দশ কেটে