পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশবাবু ইহার উত্তর দিবার জন্য এক নূতন কল বাহির করিয়াছেন। জড়বস্তুকে চিমটি কাটিলে যে স্পন্দন উৎপন্ন হয়, এই কলের সাহায্যে তাহার পরিমাণ স্বত লিখিত হইয়া থাকে। আশ্চর্ষ্যের বিষয় এই যে, আমাদের শরীরে চিমটির ফলে যে স্পন্দনরেখা পাওয়া যায়, তাহার সহিত এই লেখার কোন প্রভেদ নাই । জীবনের স্পন্দন যেরূপ নাড়ীদ্বারা বোঝা যায়, সেইরূপ জড়েরও জীবনী শক্তির নাড়ীম্পন্দন এই কলে লিখিত হয়। জুড়ের উপর বিধপ্রয়োগ করিলে তাহার স্পন্দন কিরূপে বিলুপ্ত হইয়া আসে, এই কলের স্বারা তাহা চিত্রিত হইয়াছে। বিগত ১০ই মে তারিথে আচাৰ্য্য জগদীশ রয়াল ইনষ্টি ট্যশনে বক্তৃতা করিতে আহূত হইয়াছিলেন । তাহার বক্তৃতার বিষয় ছিল— যান্ত্রিক ও ও বৈদ্যুতিক তাড়নায় জড়পদার্থের সাড়া (The response of inorganic matter to mechanical and electrical stimulus) | এই সভায় ঘটনাক্রমে লর্ড রেলি উপস্থিত থাকিতে পারেন নাই, কিন্তু প্রিন্স ক্রপট্‌কিন এবং বৈজ্ঞানিক সমাজের প্রতিষ্ঠাবান লোকেরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন । এই সভায় উপস্থিত কোন বিদূষী ইংরাজ মহিলা, সভার যে বিবরণ আমাদের নিকট পাঠাইয়াছেন, নিম্নে তাহা হইতে স্থানে স্থানে অতুবাদ করিয়া দিলাম । সন্ধ্যা নয়টা বাজিলে দ্বার উন্মুক্ত হইল এবং বস্তু-জায়াকে লষ্টয়া সভাপতি সভায় প্রবেশ করিলেন । সমস্ত শ্রোতৃম গুলী অধ্যাপকপত্নীকে সাদরে অভ্যর্থনা করিল। তিনি অবগুণ্ঠনাবৃত এবং শাড়ী ও ভারতবর্ষীয় অলঙ্কারে সুশোভনা। তাহাদের পশ্চাতে যশস্বী লোকের দল, এবং সর্বপশ্চাতে আচাৰ্য বহু নিজে। তিনি শাস্ত নেত্রে একবার সমস্ত সভার > o 2