পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন এবং অতি স্বচ্ছন্দ সমাহিত ভাবে বলিতে প্রবৃত্ত হইলেন । র্তাহার পশ্চাতে রেখাঙ্গন-চিত্রিত বড় বড় পট টাঙান রহিয়াছে। তাহাতে বিষ প্রয়োগে, শ্রাস্তির অবস্থায়, ধমুষ্টঙ্কার প্রভৃতি আক্ষেপে, উত্তাপের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় স্বায়ু ও পেশীর এবং তাহার সহিত তুলনীয় ধাতুপদার্থের স্পন্দনরেপ অঙ্কিত রহিয়াছে। র্তাহার সম্মুখের টেবিলে যন্ত্রোপকরণ সজ্জিত । তুমি জান, আচাৰ্য্য বস্তু বাগী নহেন। বাক্যরচনা তাহার পক্ষে সহজসাধ্য নহে ; এবং তাহলে বলিবার ধরণও আবেগে ও সাধ্বসে পূর্ণ। কিন্তু সে রাত্রে তাহার বাক্যের বাধা কোথায় অস্তধান করিল। এত সহজে তাহকে ললিতে আমি শুনি নাই । মাঝে মাঝে তাহার পদবিন্যাস গাষ্ঠীৰ্য্যে ও সৌন্দয্যে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিতে লাগিল,— এবং মাঝে মাঝে তিনি সহাস্তে সুনিপুণ পরিহাস-সহকাবে অত্যন্ত উজ্জল সরলভাবে বৈজ্ঞানিক ব্যহের মধ্যে অসের পর অস্ম নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন । তিনি রসায়ন, পদার্থতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা প্রশাথাল ভেদ অত্যন্ত সহজ উপহাসেই যেন মিটাইমা দিলেন । তাহার পরে, বিজ্ঞানশাস্ত্ৰে জীল ও আজীবের মধ্যে যে সকল ভেদনিরূপক-সংজ্ঞা ছিল, তাহা তিনি মাকড়সার জালের মত ঝাডিয়া ফেলিলেন । যাহাল মৃত্যু সম্ভব, তাহাকেই ত জীবিত বলে — অধ্যাপক বস্ব একথও টিনেব মৃত্যুশয্যাপাশ্বে দাড করাইয়া আমাদিগকে তাহাব মরণাক্ষেপ দেখাইতে প্রস্বত আছেন, এবং লিষ প্রয়োগে যখন তাহাব অস্তিম দশা উপস্থিত, তপন ঔষধ প্রয়োগে পুনশ্চ তাহাকে সুস্থ করিয়! তুলিতে পারেন। অবশেষে অধ্যাপক যখন তাহার স্বনির্মিত কত্রিম চক্ষু সভার সম্মুপে У У о