পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ বৎসর পরে পুনরায় তাহারা আদরের সহিত তাহ প্রকাশ করিয়াছেন । আচার্য্য জগদীশ যে মহৎ তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক-সমাজে উপস্থিত করিয়াছেন, তাহার পরিণাম বহুদূরগামী। এক্ষণে আচাৰ্য্যকে এই তত্ত্ব লইয়া সাহস ও নিবন্ধের সহিত যুদ্ধ করিতে হইবে, ইহাকে সাধারণের নিকট প্রতিষ্ঠিত করিয়া তবে তিনি বিশ্রাম করিতে পাইবেন। এ কাজ ধিনি আরম্ভ করিয়াছেন, শেষ করা তাহারই সাধ্যায়ুত্ত। ইহার ভার আর কেহ গ্রহণ করিতে পারিবে না। আচার্ষ্য জগদীশ বর্তমান অবস্থায় যদি ইহাকে অসম্পূর্ণ রাখিয়া যান, তবে ইহা নষ্ট হইবে। কিন্তু তাহার ছুটি ফুরাইয়া আসিল । শীঘ্রই তাহাকে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপনাকার্ধ্যে যোগ দিতে আসিতে হইবে এবং তিনি তাহার অন্ত কাজ বন্ধ করিতে বাধ্য হইবেন । কেবল অবসরের অভাবকে তেমন ভয় করি না । এখানে সর্বপ্রকার আমুকূল্যের অভাব। আচাৰ্য্য জগদীশ কি করিতেছেন, আমরা তাহা ঠিক বুঝিতে ও পারি না। এবং দুর্গতিপ্রাপ্ত জাতির স্বাভাবিক ক্ষুদ্রতাবশত আমরা বড়কে বড় বলিয়া শ্রদ্ধা করিতে পারি না, শ্রদ্ধা করিতে চাহি-ও না। আমাদের শিক্ষা, সামর্থ্য, অধিকার যেমনই থাক, আমাদের স্পৰ্দ্ধার অস্ত নাই। ঈশ্বর যে সকল মহাত্মাকে এ দেশে কাজ করিতে পাঠান, তাহারা যেন বাংলা গবর্মেন্টের নোয়াখালি-জেলায় কাৰ্য্যভার প্রাপ্ত হয়। সাহায্য নাই, শ্রদ্ধা নাই, প্রীতি নাই,— চিত্তের সঙ্গ নাই, স্বাস্থ্য নাই, জনশূন্ত মরুভূমিও ইহা অপেক্ষা কাজের পক্ষে অমুকুল স্থান – এই ত স্বদেশের লোক— এদেশীয় ইংরাজের কথা কিছু বলিতে চাহি না । এ ছাড়া যন্ত্র-গ্রন্থ, সৰ্ব্বদ। বিজ্ঞানের আলোচনা ও পরীক্ষা ভারতবর্ষে স্থলভ নহে। আমরা অধ্যাপক বহুকে অকুনয় করিতেছি, তিনি যেন তাহার কৰ্ম্ম Y S 9