পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া দেখিয়াছি, এখন অনেক বুঝিতে পারি। অন্ত কোন দেশে সভ্যতা এতদূর নিম্নস্তর পর্য্যন্ত ব্যাপ্ত হইয়াছে ? অন্য কোন জাতি অনাৰ্য্যকে আধ্য করিতে পারিয়াছে ? অন্য কোথায় নিম্নস্তর পর্য্যস্ত পুণ্য এরূপ প্রসারিত হইয়াছে ? তবে আজকাল জ্ঞান লইয়া সভ্যাসভ্যের বিচার হয়। তোমরা মুখ তোমরা কেবল নকল করিতে পার ইত্যাদি কথা বিদেশী কেন, স্বদেশীয় অনেকের নিকট শুনিয়াছি। এই এক কথা শুনিয়া সমস্ত দেশের লোক মন্ত্ৰমুগ্ধ হইয়া আছে। তুমি স্নেহ গুণে আমার অনেক অযথা প্রশংসা করিয়াছ। যদি কিছু প্রশংসার থাকে তবে এই যে আমি এই মন্ত্রপাশ হইতে নিজেকে মুক্ত করিতে পারিয়াছি। আমি সত্য বলিতেছি যে, অষ্ঠে যাহা করিয়াছে তাহা যতই উচ্চ হউক না কেন তাহ। আমাদের জাতির পক্ষে অসম্ভব নহে । তোমরা আশীৰ্ব্বাদ কর আমি যেন সেই Eternal lie, যাহা দ্বারা আমাদের সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত উৎসাহ, নিৰ্ম্মল ইষ্টয়াছে— সেই ঘোর মিথ্যাপাশকে চিরকালের জন্য ছিন্ন করিতে পারি।” জগদীশবাবুর এই পত্র আমার পক্ষে পরিতোসিক । আমি যাহা বলিতে চেষ্টা করিয়াছি তিনি তাহা বুঝিয়াছেন । হিন্দুর যথার্থ গৌরব কি, এবং হিন্দুর উন্নতিসাধনের প্রকৃত পথ কোন দিকে বঙ্গদর্শনে তাহাই সম্যক আলোচিত হইলে আমি চরিতার্থ হইব। হিন্দুত্ব কি তাহাট আমি ক্রমশ: দেখাইতেছি এবং সেই সঙ্গে একথা ও জানাইতেছি যে, যুরোপীয় সভ্যতায় যাহাকে ন্যাশনাল মহত্ত্ব বলে তাহাই মহবের একমাত্র আদর্শ নহে । আমাদের বিপুল সামাজিক আদর্শ তাহা অপেক্ষ অনেক বৃহৎ ও উচ্চ ছিল । এই আদর্শকে যদি জড়হবশত আমরা নষ্ট হইতে দিই তবে যুরোপীয় মতে নেশন ও হইব না অথচ মাহ প্রকৃতি হইতে ভ্রষ্ট হইয়া আকৰ্ম্মণ্য দুৰ্ব্বল হইল । জগদীশবাবুর জন্য কিছু করিবার সময় অগ্রসর হইতেছে । তাহার > ごかこ