পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞানালোচনার সঙ্কটকাল উপস্থিত হইয়াছে । তিনি যে উচ্চের দিকে উঠিতেছিলেন পরাধীনতা ও বাহিরের বাধায় তাহাকে হঠাৎ নিরস্তু করিলে আমাদের পক্ষে ক্ষোভ ও লজ্জার সীমা থাকিবে না। মহারাজ আপনাকে স্পষ্ট কথা বলি– আমি যদি দুর্ভাগ্যক্রমে পরের অবিবেচনাদোষে ঋণ জালে আপাদমস্তক জড়িত হইয়া না থাকিতাম তবে জগদীশবাবুর জন্য আমি কাহার ও দ্বারে দণ্ডায়মান হইতাম না, আমি একাকী র্তাঙ্গর সমস্ত ভার গ্রহণ করিতাম। দুরবস্থায় পড়িয়া আমার সর্বপ্রধান অক্ষেপ এই যে দেশের হিতকার্য্যের জন্য পরকে উত্তেজনা করা ছাড়া আমার দ্বারা আর কিছুই হইতে পাবে না। মহারাজের উদার হৃদয়, লোকহিতৈষ মহারাজের পক্ষে স্বাভাবিক, সেই গুণে আমি মহারাজের নিকট একান্ত আকৃষ্ট হইয়া আছি । জগদীশবাবুব জন্য আমি প্রত্যক্ষভাবে মহারাঞ্জের নিকট দরবার করিতে ইচ্ছু ক— এজন্য আমি আগরতলায় যাইতে প্রস্তুত। . আমি মহারাজের নির্জন থাস দরবারের মধ্যে প্রবেশ করিলার প্রত্যাশী— আমি মহারাজের প্রতি নিতান্তই উপদ্রব করিব, মঞ্জী বর্গদ্বারা আমি প্রতিহত হঠব না। মহারাজের পরিচরবগ নান কথাই বলিবে, নানা অভিসন্ধি আশঙ্কা করিয়া আমাকে সস্কুচিত করিবে, কিন্তু আমি তাহ শিরোধয্য করিব । মহারাজের নিকট পূৰ্ব্ব হইতেই श्रीभी रौ હફ নিবেদন রহিল। মহারাজের প্রতি আমার আকৃত্রিম শ্রদ্ধা আছে বলিয়াই আমি আকুষ্ঠিত ভাবে সকল কথা বলিলাম। যদি ধুঃত। হইয়া থাকে তলে মার্জনা করিবেন। এবং আমাকে ব্যক্তিগত হিসাবে মার্জনা করিয়া আমার এক স্ত আস্তরিক মঙ্গল উদ্দেশ্যের প্রতি প্রসন্ন দৃষ্টি রক্ষা করিবেন।. ইতি ২৪শে শ্রাবণ ১৩০৮ চিরাচুরক্ত শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর >\98