পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ও রবীন্দ্রনাথ-প্রণীত ‘সংস্কৃত পাঠ, দুই খণ্ডে, ১৮৯৬ সালে ‘সংস্কৃত শিক্ষা নামে প্রকাশিত হইয়াছিল। প্রথম খণ্ড পাওয়া যায় নাই, দ্বিতীয় খণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলীতে ( আচলিতসংগ্ৰহ দ্বিতীয় খণ্ডে ) পুনর্মুদ্রিত হইয়াছে। পত্র ৪ । ‘আপনার জন্যে পুরীর জমীটি’ পুরীতে রবীন্দ্রনাথের ‘জমি ও গোটকতক ঘর’ ছিল । জগদীশচন্দ্রকে এই জমি রবীন্দ্রনাথ দিতে চাহিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে জগদীশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে লিখিতেছেন ( ১৮ আগস্ট ১৯০৩ )— ‘তুমি যে পুরীর জায়গা আমাকে দিতে চাহিয়াছ ! তুমি কি মনে কর আমার কোন স্থানের উপর কোনমাত্র টান আছে ? কেবল একসময় মনে করিয়াছিলাম যে, দুজনে একটি কুটীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া মাঝে মাঝে যাইয়! থাকিব । . তুমি যদি একপ নিরাসক্ত হও, আর তুমি যদি পুরীতে সঙ্গী না হও, আমার পক্ষে ওকপ নির্জনবাস অসহ্য হইবে ।’ শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের ঋণমোচনে ব জন্য অবশেষে তাহ বিক্রয় করিয়া দিতে হয়। এই প্রসঙ্গে শ্ৰহেমেন্দ্র প্রসাদ ঘোষ তাহার ‘রবীন্দ্রনাথ’ ( ১৩৪৮ ) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের একখানি চিঠি উদ্ধৃত করিয়াছেন— ‘বিদ্যালয়ের fund হইতে এই বাডিট করিয়| দিলে কিরূপ হয় ? তা যদি না হয় তবে সেখানকার ইংরাজ মাজিষ্টেট বলিতেছিলেন . পুরীতে জমি কিনিবার জন্য অত্যন্ত উংস্বক। যদি হাজার তিন চার টাকা পাওয়া যায়, তবে তাহাকে বেচিয়া ঐ টাকা বিদ্যালয়ে জমা করা যাইতে পারে। তুমি কাহাকে দিয়া . নিকট যাচাই করিতে পার ? ১ সমুদ্র তীরবাসের লোভে পুরীতে একটা বাড়ি করেছিলুম। সে বাড়ি একদিনও ভোগ করবার পূর্বে আশ্রমের ক্ষুধার চরিতে বিক্রি হয়ে গেল । —আশ্রমের রূপ ও বিকাশ, পূ ৬৪ ১ ৭২