পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানেন, প্রথমজীবনে কর্মক্ষেত্রে বহু প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে বহু অনাবগুৰু বাধার সহিত সংগ্রাম করিয়া তাহাকে বিজ্ঞানসাধনায় নিমগ্ন থাকিতে হইয়াছে। বিদেশে যখন তাহার আবিষ্কার বিজ্ঞানীসমাজে গভীর ঔৎসুক্য ও বিস্ময়ের সঞ্চার করিয়াছে, তখনও পাশ্চাত্ত্যদেশে অমুকুল পরিবেশে র্তাহার গবেষণাকে পরীক্ষা করিয়া লইবার ও তাহাকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিবার হযোগ ও অবসর সামান্ত পরিমাণে লাভ করিতেও তাহাকে প্রভূত বেগ পাইতে হইয়াছে। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথকে লিখিত বহু পত্রে জগদীশচন্দ্রের দ্বিধান্দোলিত চিত্তের উদবেগ প্রকাশিত হইয়াছে— ৫ অক্টোবর ১৯• • । ‘জীবনের কথা কেহ বলিতে পারে না ; নতুবা **i fon, state of Kło go on School of Workers to এক সম্পূর্ণ নূতন বিষয় প্রকাশিত হইবে। আপনার কেন এই কাৰ্য্যক্ষেত্র প্রস্তুত করিলেন না ? তাহা হইলে এক বিষয়ের কলঙ্ক চিরকালের জন্য মুছিয়া যাইত। জীবন অনিত্য বলিয়াই আমাকে তাড়াতাড়ি প্রকাশ করিতে হইতেছে । আমি দেশ হইতে আসিবার সময়ও জানিতাম না, যে, কি বিশাল ও অনন্ত বিষয় আমার হাতে পড়িয়াছে। সম্পূর্ণ না ভাবিয়া যে থিওরি প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছি, তাহার অর্ধপরিস্ফুটিত প্রতি কথায় কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার নিহিত আছে, প্রথমে বুঝি নাই। এখন সব কথার অর্থ করিতে যাইয়া দেখি, যে, ঘোর অন্ধকারে অকস্মাং জ্যোতির আবির্ভাব হইয়াছে । যে দিকে দেখি, সে দিকেই অনস্ত আলোক-রেখা। জন্মজন্মাস্বরে ও আমি ইহা শেষ করিতে পারিব না। আমি কোনটা ছাড়িয়া কোনটা ধরিব তাহা স্থির করিতে পারিতেছি না। আবার এদিকে জামায় এখানকার সময়ও ফুরাইয়া আসিতেছে।’ >br● איו* fb