পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্পীর মধ্যে থেকে সেখানকার লোকদের সঙ্গে বাস করে তাদের শিক্ষণ স্বাস্থ্য বিচার প্রভৃতি সকল কাজের ব্যবস্থা তাদের নিজেদের দিয়ে করাবার চেষ্টা করচে । তাদের দিয়ে রাস্তাঘাট বাধানে, পুকুর খোড়ানো, ড্রেন কাটানে, জঙ্গল সাফ করানো, প্রভৃতি সমস্ত কাজের উদ্যোগ হচ্চে । আমাদের পল্লীর ভিতরে সমস্ত দেশ ব্যাপ্ত করে এমন সুগভীর নিরুদ্যম, যে, সে দেখলে স্বরাজ স্বাতন্ত্র্য প্রভৃতি কথাকে পরিহাস বলে মনে হয়— ও সকল কথা মুখে উচ্চারণ করতে লজ্জা বোধ হয়। কিন্তু র্যারা সবচেয়ে উচ্চৈঃস্বরে একেবারেই সপ্তমে গলা চড়িয়ে এই সকল শব্দ ঘোষণা করেন তারাই এই বিষয়টাতে সকলের চেয়ে নিশ্চেষ্ট । সুরেন্দ্রবাবুরা পল্লীসমাজ গঠনের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হয়েছেন— তারা কলকাতায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন— পল্লীগ্রামেও লাগবেন বলে আশা দিয়েছেন । কিন্তু চরমপন্থীরা কেবল চরমের কথাই ভাবচেন, উপস্থিত কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে তারা একেবারেই নিশ্চেষ্ট । এ পর্য্যন্ত এদের দ্বারা একটি অতি ক্ষুদ্র কাজও হয় নি। অথচ এরাই মডারেট দলকে কৰ্ম্মহীন বাক্যবিশারদ বলে গাল দিয়ে এসেছেন । এরা কেবলই কথা নিয়ে কলহ করচেন কাজেই আমার মত জরাজীর্ণকেও কাজের ক্ষেত্রে নাবতে হয়েছে । আমি সভাস্থলের আহবানে আর সাড়া দিচ্চি নে— কিন্তু সেই জন্যেই দেশের যেটা সকলের চেয়ে প্রয়োজন সেটা সাধনের জন্তে আমার যেটুকু সাধ্য তা প্রয়োগ করতেই হবে। আপনার సె )