পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক জিনিষ আছে যা ভাড়াটে গাড়ির মত— যতক্ষণ তার প্রয়োজন, ততক্ষণই তার ব্যবহার, ততক্ষণই তার সঙ্গে সম্বন্ধ । কিন্তু যেখান থেকে আমরা এমন কিছু পাই যা আমাদের মমুস্তত্বের সম্বল, তার সঙ্গে স্বভাবতই আমাদের চিরকালের গভীর যোগ জন্মে যায়। পৃথিবীতে যে কোনো মানুষের বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সেইরকম বড়, গভীর এবং নিত্য সম্বন্ধ জন্মে যায় তারা লক্ষ্যে এবং, অলক্ষ্যে আমাদের ক্ষুদ্রত থেকে রক্ষা করে এবং সার্থকতার দিকে নিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যক্রমে অল্প মানুষেরই এমন সুযোগ ঘটে। পৃথিবীতে চিত্তকে মুদূর গভীরতার মধ্যে প্রেরণ করে চিরদিন প্রাণরস মঙ্গলরস সঞ্চয় করবার মত জায়গা আমরা বেশি পাইনে— এবং আমাদের অনেকেরই এমন শক্তি নেই যে আমরা কোথাও চিরন্তন সত্যসম্বন্ধ স্থাপন করতে পারি। যদি এ কথা সত্য হয় যে বোলপুর বিদ্যালয়ের সঙ্গে অরবিন্দের একটি সত্যকার যোগ স্থাপনা হয়েছে তবে সে জন্তে কিছুমাত্র উদ্বিগ্ন হবেন না, বরঞ্চ অরবিন্দের জন্তে আনন্দিত হবেন । আমি যে এ কথা বলচি তার কারণ এ নয় যে বোলপুর বিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ একটা শক্তি আছে– এ বিদ্যালয় কাউকে বিশেষ কিছু দিতে পারে না— কিন্তু যে ব্যক্তি তপস্যা করে নিতে পারে সে আপনার শক্তিতেই সমস্ত উপলক্ষ্য হতেই সার সংগ্রহ করতে পারে। সেই তপস্তাকে জাগ্রত করাই হচ্চে কথা । বারো আনা লোক অত্যন্ত লঘুভাবে পৃথিবীর উপর দিয়ে ভেসে চলে যায়, বিপদ সেইখানেই । জীবনের সম্বন্ধে পুথিবীর সম্বন্ধে সত্যতা যদি জন্মে যায় তাহলেই ఏ88