পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

asর সাধক হয়। বোলপুরের বিদ্যালয়ে অরবিন্দ আর কিছু নক বা না পাক, সে জীবনকে সত্য বলে অস্তরের মধ্যে দৃঢ়ৰূপে উপলব্ধি করেছে। এই উপলব্ধিটি এমন একটি বড় জিনিষ যে, যেখান থেকে এটি আমরা পাই সেইখানেই আমাদের জীবনের গভীরতম শ্রদ্ধা জড়িত হয়ে পড়ে— ন হয়ে উপায় নেই। যদি দেখতেন অরবিন্দের মনে সেই পরিমাণ শ্রদ্ধা জাগ্রত হয়নি তাহলে নিশ্চয়ই জানতেন তার চিত্তেও সে সেই পরিমাণ বড় জিনিষ পায় নি। এই জন্তে আমি আপনাকে বলচি অরবিনেদর জন্যে আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না। এ কথা নিশ্চয়, অনেক সময় নানা কারণে আমাদের মনে মোহ উৎপন্ন হয়— সেই মোহের বন্ধনও প্রচণ্ড প্রবল। আমাদের ছেলেরা অনেক সময় ইংলণ্ডে গিয়ে সেখানে আপনার মনপ্রাণ বিকিয়ে আসে সেটা তাদের পক্ষে কিছুতেই ভাল নয় এ কথা স্বীকার করতেই হবে। to কিন্তু এখানে মোহের কোনো উপকরণই নেই । যাতে মনকে বাইরের দিক থেকে ভোলাতে পারে এমন কিছুই এখানে দেখতে পাবেন না— বরঞ্চ ঠিক তার উল্টো। সুদীর্ঘকাল পর্য্যন্ত অরবিন্দের মন এখানে বসে নি। ও যেন একেবারে উদাসীন ছিল । কোনো শিক্ষা বা কোনো কথায় ও মন প্রয়োগ করতেই পারত না । ওর সম্বন্ধে আমি প্রায় হতাশ হয়ে পড়েছিলুম। পড়াশুনোর দিকেও ওকে আমি অগ্রসর করতে পারছিলুম না, ভিতরের দিক থেকেও মহত্ত্বের প্রতি ওর চিত্তকে জাগ্রত করতে পারছিলুম না, ক্রমে এই ৷ ఏ85