পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করবেন। উপবাসের দ্বার, শাসনের দ্বার,বাধার দ্বারা একে নি:শব্দ ও নিজ্জীব করতে হয় ত কিছুতেই পারবেন না— যদি তা পারেন তবে তার চেয়ে এমন পরম দুঃখের জিনিষ আর কিছুই হতে পারে না । কিন্তু আমি হয় ত গোড়াতেই ভুল করছি। সম্ভবত অরবিন্দ জীবনের যে আদর্শ গ্রহণ করেছে সেটাকে আপনারা ভাল বলেই মনে করেন না । ও যে রকম হলে আপনারা খুসি হতেন ও তেমনটি হয় নি— এবং সেই জন্তে নিশ্চয়ই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা, প্রভাব ও বিধিব্যবস্থাকে মনে মনে দায়ী করচেন— এবং ভাবচেন, যা হয়ে গেছে তা হয়ে গেছে এখন থেকে নূতন পথে ওর জীবনকে প্রবাহিত করে দেবেন । এ সম্বন্ধে আমার বলবার কথা কিছুই থাকতে পারে না। যা ওর পক্ষে মঙ্গল বলে আপনারা বিবেচনা করবেন নিশ্চয়ই সেদিকে ওকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবেন । কিন্তু ক্ষুব্ধ হয়ে বিরক্ত হয়ে যদি এ কাজে প্রবৃত্ত হন তবে ওকে প্রতি মুহূর্বে কেবল পীড়িত করবেন, কোনো ফলই পাবেন না । মঙ্গলের পথ যন্ত্রের পথ নয়— সেখানে জোর খাটে না । ওকে আপনার যদি না বোঝেন, তা হলে স্বভাবতই ও ক্রমেই আপনাদের কাছ থেকে দূরে গিয়ে পড়বে, ক্রমেই আপনাদের বোঝার অতীত হয়ে উঠবে। ওর এখন এমন একটি বয়স এমন একটি অবস্থা যখন খুব বিবেচনার সহিত ওকে সকল দিক থেকে বুঝে ওর প্রতি একান্ত সহিষ্ণু হয়ে, ওর গভীরতম প্রয়োজনের কথা চিন্ত করে ওর বেদনায় বেদন দিয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধুর ১৪ জ