পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত ওকে হাতে ধরে নিয়ে চলতে হবে- রাগ করে ওকে আঘাত করলে সেই আঘাতের দ্বারা ওর ক্ষতি করবেন এবং ওকে হারাতে থাকবেন। আমার পক্ষ থেকে আমি একটি মাত্র কথা আপনাকে বলতে ইচ্ছা করি। অরবিন্দকে যে আদর্শে তৈরি করলে আপনাদের মনের মত হত তা আমি হয় ত করি নি, কারণ করা হয় ত আমার পক্ষে অসাধ্য, কিন্তু এ কথা মনে রাখবেন যে যদি বড়র দিকে সত্যের দিকে ওর জীবনের গতি অভিমুখ হয়ে থাকে সেও কম কথা নয় । ও নিজের জীবনকে বড় রকম করে সার্থক করতে চায় এইটেই সকলের চেয়ে বড় কথা— কোন বিশেষ পথ দিয়ে করতে চায় তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফল নেই। আমার হাতে যা ছিল, আমি যেটুকু পারি তা আমি ওর সম্বন্ধে করেছি— সে জন্যে যেটুকু অপরাধ সে সম্পূর্ণ ই আমার— ও বেচারার উপায় ছিল না— কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে দণ্ড ওকেই ভোগ করতে হবে । অরবিন্দ যদি ইস্কুলে পড়া কলেজে পাস করা সাধারণ বালকের মত হত— অর্থাৎ চিত্ত বলে কোনো পদার্থ না থাকত, এবং যখন যে যা বলত তাই আবৃত্তি করত, চারদিকে যা শুনত তাই নির্বিবচারে শুনে যেত, তাহলে আপনারা কি খুসি হতেন ? সত্যকে পাবার চেষ্টা ওর মনে যে প্রবল হয়ে উঠেছে সে যদি ভুল করেও হয় এবং ভুল পথেও যায় তাতে কি আপনাদের আনন্দের কথা কিছু নেই ? পথের সংশোধন হওয়া শক্ত নয় কিন্তু এই চেষ্টাটাই জগতে দুর্লভ । এবারে আপনাকে বোলপুরে আসবার কথা বলি নি— তার ఏ8 రెl