পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ; আধুনিক ভারতবর্ষে যাহারা মাঝে মাঝে এই আশার আলোক জালিয়া তুলিতেছেন তাহারা যদিবা আমাদের স্বৰ্য্যচন্দ্ৰ নাও হন তথাপি আমাদের স্বদেশের অন্ধ রজনীতে র্তাহারা এক মহিমান্বিত ভবিষ্যতের দিকে আমাদিগকে পথ দেখাইয়া জাগিতেছেন । সম্ভবতঃ সেই ভবিষ্যতের আলোকে তাহাদের ক্ষুদ্র রশ্মিটুকু একদিন মান হইয়া যাইতে পারে কিন্তু তথাপি তাহারা ধন্ত । ভারতবর্ষ আজ পৃথিবীর সমাজচ্যুত । তাহাকে আবার সমাজে উঠিতে হইবে । কোন একসূত্রে পৃথিবীর সহিত তাহার আদানপ্রদান আবার সমানভাবে চলিবে, এ আশা আমরা কিছুতেই ছাড়িতে পারি না। রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা আমরা কবে ফিরিয়া পাইব এবং কখনও ফিরিয়া পাইব কিনা সে কথা আলোচনা করা বৃথা । কিন্তু নিজের ক্ষমতায় জগতের প্রতিভারাজ্যে আমরা স্বাধীন আসন লাভ করিব এ আশা কখনই পরিত্যাগ করিবার নহে । রাজ্যবিস্তারমদোদ্ধত ইংলণ্ড আজকাল উষ্ণমণ্ডলবাসী জাতিমাত্রকে আপনাদের গোষ্ঠের গরুর মত দেখিতে আরম্ভ করিয়াছেন। সমস্ত এসিয়া এবং আফ্রিকা তাহাদের ভারবহন এবং তাহাদের দুগ্ধ যোগাইবার জন্য আছে, কিড, প্রভৃতি আধুনিক লেখকগণ ইহা স্বতঃসিদ্ধসত্যরূপে ধরিয়া লইয়াছেন । অদ্য আমাদের হীনতার অবধি নাই একথা সত্য কিন্তু উষ্ণমণ্ডলভূক্ত ভারতবর্ষ চিরকাল পৃথিবীর মজুরী করিয়া আসে নাই । ইজিপ্ট, ব্যাবিলন, কান্ডিয়া, ভারতবর্ষ, গ্রীস এবং রোম ইহারাই জগতে সভ্যতার У о Ф