পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জড় কি সজীব ? আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বস্ব গতবারে বিলাতে গিয়া বিজ্ঞানের যে নূতন তথ্য প্রচার করিয়া আসিয়াছিলেন, এতদিনে অল্পে অল্পে তাহার সংবাদ আমাদের নিকট পরিচিত হইয়া আসিতেছে । সেই আবিষ্কার ঈথরতত্ত্বকে অগ্রসর করিয়া দিয়া তারহীন টেলিগ্রাফযন্ত্রের কাৰ্য্যোপযোগিতা বাড়াইয়া দিয়াছে এবং বিজ্ঞানবিদগণের নিকট প্রচুর সম্মান লাভ করিয়াছে, এ খবর আমাদের কাছে আসিয়া পৌছিয়াছে। পুনৰ্ব্বার আচাৰ্য্যবর যুরোপের পণ্ডিতসভায় নবতর তত্ত্ব উপহার লইয়া প্রবেশ করিয়াছেন। ইহা শুনিয়াছি ব্যাপারটি অদ্ভুত। শুনিয়াছি জড় ও জীবের মধ্যে দুর্লঙ্ঘ্য বৈষম্য তিনি ভেদ করিয়া বিজ্ঞানিগণকে সচকিত করিয়া তুলিয়াছেন। আঘাত, উত্তেজনা প্রভৃতি দ্বারা ধাতুপদার্থ ও সজীবপদার্থে একই রূপ ফল উৎপন্ন হয়, ইহা পরীক্ষণ দ্বারা প্রত্যক্ষ দেখাইয়া তিনি জড়জীবের সাধৰ্ম্ম্য প্রমাণ করিয়াছেন । সকল কথা আমরা এখনো স্পষ্ট করিয়া বিস্তারিতরূপে জানিতে পারি নাই | সভায় যাহারা উপস্থিত ছিলেন, তাহদের মনে কিরূপ ধারণা হইয়াছে, তাহা হইতেই বিষয়টার মোট কথা আমরা কতকটা অকুমান করিতেছি । অবৈজ্ঞানিক শ্রোতারা কি বুঝিয়াছেন, তাহা ইংরাজি গ্লোব পত্রের নিম্নলিখিত পরিহাসবাক্যে জানা যায়। গ্লোব বলেন, ধাতুপদার্থের উপর নানাবিধ অত্যাচার করিবার সময় অধ্যাপকের দুই চক্ষু অশ্রুজলে পূর্ণ হইয়াছিল। এ জন্য র্তাহাকে ধন্য বলি। কিন্তু আগুন উস্কাইবার লৌহদণ্ড যখন চুলার লৌহবেষ্টনের উপর পড়িয়া যাইবে, তখন তাংরি আঘাত লাগিয়াছে বলিয়া তাড়াতাড়ি তাহাকে তুলিয়া লইয়া আদর ১১৩