পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতে বসিবে, বৃটিশ গৃহস্থর সে অবস্থা আসিতে বিলম্ব আছে। বৃটিশ গৃহস্থর চিত্ত জড় কি সজীব, কি পরিমাণ তাহার বেদনাবোধ, কতটা আঘাতে তাহার সাড়া পাওয়া যায়, সে দুরূহ পরীক্ষায় অধ্যাপক নিযুক্ত ছিলেন না, তিনি লোহা-পিতলকে আঘাত করিয়৷ সাড়া পাইয়াছেন। গ্লোবের উক্তিতে ইহা বুঝা যায় যে, অধ্যাপকেল মতে জড়ের জীবনধৰ্ম্ম আছে, অবৈজ্ঞানিক শ্রোতাদের মনে এইরূপ সংস্কার জন্মিয়াছে । জীবমাত্রই যে সচেতন, এ কথা মনে আনিবার প্রয়োজন নাই । অস্তত এথনো তাহার প্রমাণ হয় নাই। উদ্ভিদের চেতন আছে কিন, কেহ বলিতে পারে না, কিন্তু তাহার জীবন আছে, এ কথা সকলেই জানে । I. লৌহদণ্ড পড়িয়া গেলে তাহার বেদনা বোধ হয়, এ কথা কেহ বলে না ; কিন্তু সে যে আঘাত পায়, এ কথা ও কেহ বলিত না । অর্থাং সজীব পদার্থ আছাড় খাইলে তাহাতে আঘাতের যেরূপ লক্ষণ প্রকাশ পায়, ধাতুপদার্থেও সেইরূপ লক্ষণ দেখ দেয়, ইহা জানা ছিল না। আচার্য্য জগদীশ পরীক্ষা দ্বারা তাহাই প্রকাশ করিয়াছেন । সাধারণ শ্রোতার কথা উপরে লিখিলাম। এক্ষণে বিজ্ঞানবিদ বিশেষজ্ঞ কি বলেন, তাহ আলোচনা করিলে বিষয়টার আভাস পাওয়া যাইবে । তড়িৎ-তত্ত্ব-সম্বন্ধে বিখ্যাত ইংরাজী পত্র ইলেকটি শুনে অধ্যাপক বস্থর বক্তৃতার যে মৰ্ম্ম প্রকাশ করিয়াছেন, আমরা তাহারই সার সংগ্ৰহ করিয়া দিতেছি । সজীব মাংসপেশীকে যদি চিমটি কাটা যায় বা তাহাতে মোচড় বা চাপ দেওয়া যায়, তবে তাহা লম্বায় ছোট হইয়া চওড়ার দিকে ফুলিয়া উঠে । চাপ উঠাইয়া লইলে মাংসপেশী আবার প্রকৃতিস্থ হয়। বিশেষ S > *