পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর— স্বতরাং মহারাজের সহিত আমার প্রিয় সম্বন্ধ লোকচক্ষে হীন করিয়া তুলিতেছে। সেই সকল কারণে মহারাজের প্রতি আমার আস্তরিক শ্রদ্ধা ও অনুরাগ সত্ত্বেও আমি ক্রমশঃ দূরে নির্লিপ্ত থাকিবার চেষ্টায় ছিলাম। কেবল জগদীশবাবুর কাৰ্য্যে আমি মান অপমান অভিমান কিছুই মনে স্থান দিতে পারি ন— লোকে আমাকে যাহাই বলুক এবং যতই বাধা পাই না কেন তাহাকে বন্ধনমুক্ত ভারমুক্ত করিতে পারিলে আমি কৃতাৰ্থ হইব— ইহা কেবল বন্ধুত্বের কার্য্য নহে, স্বদেশের কার্ধ্য। স্বতরাং ভিক্ষুভাবেই আমি এবার অসঙ্কোচে মহারাজের দ্বারে দাড়াইব । আমি ধনীর পুত্র কিন্তু ধনী নহি— অস্তরে ঈশ্বর যে সকল শুভ সঙ্কল্প প্রেরণ করেন তাহা সাধনের ক্ষমতা আমার হাতে দেন নাই— সুতরাং শুভকৰ্শ্বের অন্তরায়স্বরূপ সমস্ত অভিমানকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দেওয়াই আমার কৰ্ত্তব্য । জগদীশবাবুর জন্য তাহাই দিব। তাহার পরে যদি পারি তবে সংসারের সমস্ত স্তুতিনিন্দ হইতে নিজেকে দূরে লইয়া গিয়া শাস্তচিত্তে স্বচেষ্টায় নিজের কৰ্ত্তব্য পালন করিব। ••• [ ১৩০৮ ] শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রিয়নাথ সেনকে লিখিত •• আজ জগদীশ বস্থর এক চিঠি পেয়ে ভারি আনন্দে আছি। এবারে তিনি সেখানে খুব বড় রকমের জয়লাভ করে আসবেন তার স্বত্রপাত হয়েছে। এবারে তিনি যে সকল , তত্ত্ব আবিষ্কার করেচেন তাতে বিজ্ঞানের অনেকগুলি প্রাচীন মত উন্টে গিয়ে একটা বৈজ্ঞানিক বিপ্লব উপস্থিত হবে— একবারে মূলতত্বে ঘা দেবে— কেবল Physics নয়, }\}o