পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ প্রীরথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লিখিত .বিধাতা দেশ থেকে আমাদের তাড়া করেছিলেন এই জন্যে যে, মহাবিশ্বের পথকেই আমরা দেশ বলে গ্রহণ করব । এই জন্যে যে, আমরা আরামে থাকব না আমরা আলোকে বাস করব—আমাদের জন্যে সম্পদ নয়, মুক্তি। যাই হোক আমি বেশ দেখতে পাচ্চি বাংলাদেশের বৈরাগীরা বিশ্বের পথে পথে ছড়িয়ে পড়বে— কোণের মধ্যে আমাদের জায়গা হবে না। ঐ দেখন, এত কোণ এত বন্ধনের মধ্যেও জগদীশ বোসকে কেউ ধরে রাখতে পারলে না । তার বিজ্ঞানের মন্ত্র কুণো বিজ্ঞানের মন্ত্র নয়— তিনি জড় ও চেতন, বস্তুবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান সমস্তকে একত্র মিলিয়ে বন্ধনমুক্ত জ্ঞানের মহাসঙ্কীৰ্ত্তন পূৰ্ব্ব পশ্চিমে ধ্বনিত করে তুলেচেন । এই যে তিনি দ্বার খুলে বেরিয়েচেন এ দ্বার সহজে আর বন্ধ হবে না, তার দলের লোক আরো আসচে, পথে আর জায়গা হবে না । ইতিমধ্যে এক পত্নসা দু পয়সার সাময়িক ও অসাময়িক পত্রগুলো কুণো-রাজ্যের দলাদলি নিয়ে কোদল করুক চীৎকার করুক, সে কারো কানে পৌছবে না— কেননা বাংলাদেশের অন্তরতম সাধনলোকে সিদ্ধিদাতার আহবান এসে পৌচেছে - ১০ই কাৰ্ত্তিক ১৩২৩ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ר סצ と} 1> s