পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ খ্ৰীপ্রশাস্তুচন্দ্র মহলানবিশকে লিখিত ༤ འབན། ...কোনো একটা জাতের সঙ্গে বৈষয়িক সম্বন্ধ থাকলেই তার বিকারে এইরকম অসত্য বুদ্ধি উগ্র হয়ে ওঠে। আমার উদ্দেশু ছিল অবৈষয়িক ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য জাতির সঙ্গে মিলনের পথ উদঘাটন করা । আমি যুরোপকে অস্তরের সহিত শ্রদ্ধা করি। আমি জানি ঐখানেই মানুষের মন সৰ্ব্বতোভাবে জেগেছে— এইজন্যে ঐখান থেকেই মানুষের সমস্ত কলুষ দূর হবে। যারা আধজাগ, আধমরা তারা নিজের অসাড়তার বোঝায় ধরণীকে ভারাক্রাস্ত করে, এবং সজীব পদার্থকে ব্যাধিগ্রস্ত করে । অথচ আমাদের সুপ্তির তলায় একটা চিত্ত আছে, আমরা বর্বর নই। জাগ্রত জগতের সঙ্গে অন্তরের যোগ হলেই আমাদের শক্তির উদ্বোধন হবে। তখন আমরা কেবল গ্রহণ করব না, দান করব । জগদীশ আজি বিশ্বকে যা দিচ্চেন তার মধ্যে ভারতের চিত্ত আছে, কিন্তু তার উদ্বোধন যুরোপের। তিনি যদি কূপমণ্ডক হয়ে কেবল সাংখ্যদর্শন মুখস্থ করে বৈজ্ঞানিক বুদ্ধির চর্চা করতেন তাহলে কি হত সবাই জানি। সাংখ্যদর্শন যখন সজীব ছিল তখন ওর মধ্যে থেকে আমাদের চিত্ত প্রাণশক্তি লাভ করতে পারত। কিন্তু এখন ওর প্রাণক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়ে ও একটা শাস্ত্রমাত্র হয়ে রয়েচে । অতএব সাংখ্যদর্শনকে সজীবভাবে জানতে ও গ্রহণ করতে হলে যুরোপীয় বিদ্যার সঙ্গে তার সহযোগিতা ঘটাতেই হবে।--- ২৮ ভাদ্র ১৩৩৫ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর }\రిy