পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ৩ ‘আমি সাহিত্য পড়ি নাই। কিন্তু তুমি যে নিন্দুক লেখকের প্রতি এতটা ঘৃণা অনুভব করিয়াছ তাহাতে আমি সাস্তুনা পাইলাম। তোমরা আমার হইয়া রাগ করিলে, মনে হয়, আমার আর রাগ করিবার বা দুঃখ পাইবার দরকার করে না— আমি শান্তিলাভ করি – মন শাস্ত নী থাকিলে আমি কোন কাজ করিতে পারি না— সেইজন্য জীবনকে নিস্ফলতা হইতে রক্ষা করিবার জন্য সকল প্রকার ক্ষোভের কারণ হইতে দূরে থাকিবার চেষ্টা করি— কিন্তু সংসারে কাটার উপরে পা না ফেলিলেও কাটা আপনি আসিয়া পায়ে ফোটে ; – দুঃখ বেদনার পূর্ণ অংশ হইতে বঞ্চিত হইবার উপায় নাই— আছে নিজের মনে— তাতার সাধনা মাঝে মাঝে অবলম্বন করি, কিন্তু তাহার সিদ্ধি বহুদূরে।” জগদীশচন্দ্রের চিঠি উল্লেখ করিয়া ঐ পত্রেই লিপিতেছেন— ‘ডাক্তার জগদীশ বস্থ লেখকের কাপুরুষতার প্রতি ঘৃণা এবং আমার প্রতি সমবেদন প্রকাশ করিয়া একখানি সুন্দর পত্র লিখিয়াছেন— তোমার এবং তঁtহার এই পত্রে আমি মনের মধ্যে বিশেষ বল লাভ করিয়াছি – বন্ধুহৃদয়ের সমবেদনা আমার পক্ষে বৃষ্টিধারার মত— তাহা আমার সফলতা লাভের এক প্রধান সহায় ।” পত্র ৩ । অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় । ঐতিহাসিক অক্ষয়কুমারের সহিত রবীন্দ্রনাথের বিশেষ সৌহার্দ্য ছিল ; ইহার ইতিহাসচর্চায় রবীন্দ্রনাথ যে প্রেরণা সঞ্চার করেন ‘ইতিহাস’ গ্রন্থে তাহার প্রভূত নিদর্শন সংকলিত আছে। অক্ষয়কুমার রেশমশিল্পে বিশেষজ্ঞ এবং দেশে ঐ শিল্পের প্রতিষ্ঠাকল্পে উদযোগী ছিলেন— ১ প্রিয়নাথ সেন, প্রিয়-পুষ্পাঞ্জলি, পৃ ২৭৫-৭৬ У Уэ о