পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ৪ human nature, A fool of{so উঠিতে পারে, তারপর হঠাং মন ভাঙ্গিয়া B বিন্দুতে নামিয়া যায় – এই পতন-অভু্যদয় জগদীশচন্দ্র চিঠিতে চিত্রিত করিয়াও দেখাইয়াছিলেন। তাহারই অসুবর্তনে রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন যে, জগদীশচন্দ্র বিদেশে উদ্যম-উদ্দীপনার উচ্চবিন্দুতে, রবীন্দ্রনাথ পল্লীগ্রামে নিশ্চেষ্টতার নিম্নবিন্দুতে। পত্র ৪ । 'Sketch Book নিয়ে বসে বসে ছবি অঁাকচি।’ রবীন্দ্রনাথ চিত্রচর্চায় মনোনিবেশ করেন প্রাচীন বয়সে ( ১৩৩৫ ) ; কিন্তু প্রথমজীবনেও চিত্রবিদ্যার অনুরাগী ছিলেন, একাস্তে কখনো কখনো । এ বিষয়ে চর্চাও করিয়াছেন । আলোচ্য পত্র লিখিবার সাত বৎসর পূর্বে শ্ৰীমতী ইন্দিরাদেবীকে লিখিতেছেন— ‘আমি বাস্তবিক ভেবে পাইনে কোনটা আমার আসল কাজ ।. লজ্জার মাথা খেয়ে সত্যিকথ। যদি বলতে হয় তবে এটা স্বীকার করতে হয় যে, ঐ যে চিত্রবিদ্যা বলে একটা বিদ্যা আছে তার প্রতি ও আমি সৰ্ব্বদ হতাশ প্রণয়ের লুব্ধ দৃষ্টিপাত করে থাকি— কিন্তু আর পাবার আশা নেই, সাধনা করবার বয়স চলে গেছে । অন্যান্য বিদ্যার মত তাকেও সহজে পাবার জো নেই– তার একেবারে ধমুকভাঙা পণ— তুলি টেনে টেনে একেবারে হয়রান না হলে তার প্রসন্নতা লাভ করা যায় না। ছিন্নপত্র, ৩ আষাঢ় ১৮৯৩ [ ১৩ • ] ইহারও পূর্বে চিত্রচর্চার উল্লেখ পাওয়া যায় জীবনস্মৃতি গ্রন্থে 'বর্ষা ও শরৎ’ অধ্যায়ে— ‘মনে পড়ে, দুপুরবেলায় জাজিম-বিছানো কোণের ঘরে একটা ছবি আঁকার খাতা লইয়া ছবি আঁকিতেছি । সে যে চিন্ত্রকলার কঠোর সাধনা তাহা নহে— সে কেবল ছবি আঁকার ইচ্ছাটাকে লইয়া আপন 3ՆԵ