পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র s চয়ন প্রকাশিত হয় নাই ; “চয়নিক’ প্রকাশিত হয় অনেক পরে ( ১৯৩৯ ), কবির তরুণ অনুরাগীগণ, অজিতকুমার চক্রবর্তী, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি সম্ভবত এ বিষয়ে উদযোগী ছিলেন । সম্প্রতি একখানি “কাব্যগ্রন্থে’ ( ১৮৯৬ ) কবির হাতের নানা সম্পাদনা লক্ষ্য করিয়াও মনে হয়, তিনি ‘নিজেই এ কাজে হাত দিয়াছিলেন, যদিও তাহ সমাধা হয় নাই । এই সম্পর্কে ৬-সংখ্যক পত্র ও দ্রষ্টব্য । পত্র ৪ । ‘আর্য । তুলনীয় রবীন্দ্রনাথকে লিখিত জগদীশচন্দ্রের ২৫ এপ্রিল ১৮৯৯ তারিখের চিঠি— ‘Mrs কথাটা বাংলাতে অতি বীভৎসজনক । আপনি একৃটি নুতন কথা বাহির করিবেন।’ পত্র ৪ । ‘শুtলক জায়া আর্য সরলা’ সতীশরঞ্জন দাসের পত্নী সরলতা । পত্র ৪ । ‘শিক্ষা-প্রণালীটি আমার রচিত । ... আমার পদ্ধতি মতে যদি তিনি সংস্কৃত শেখেন তাহলে এক বৎসরের মধ্যেই তার সংস্কৃত ভাষায় অধিকার জন্মাবে।”— ‘ভাষার সহিত কিছুমাত্র পরিচয় হইবার পূৰ্ব্বেই শিশুদিগকে তাহার ব্যাকরণ শিখাইতে আরম্ভ করা, ভাষা শিক্ষার সদুপায় বলিয়া আমি গণ্য করি না । “এইজন্ত আমার গৃহে বালকবালিকাদিগকে যখন সংস্কৃত শিখাইবার সময় উপস্থিত হইল, তখন আর কোনো সুবিধা না দেখিয়া নিজে একটা সংস্কৃত পাঠ লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম । ‘তাহাতে গোড়া হইতে প্রয়োগ শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই ভাষা শিক্ষণ ও ভাষার সহিত পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ ব্যাকরণ শিক্ষার ব্যবস্থ করা হইয়াছিল।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সম্পাদকের নিবেদন', [ শ্ৰীহরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় -প্রণীত ] সংস্কৃত প্রবেশ, প্রথম ভাগ । » ፃ »