পত্র ৫ ২ নভেম্বর ১৯•• । আজ প্রায় ছ মাস যাবৎ অহোরাত্ৰ মনের ভিতর সংগ্রাম চলিতেছে। এখানে থাকিব, কি দেশে ফিরিয়া যাইব । তুমিও কি আমাকে প্রলুদ্ধ করিবে ? ‘ভাবিয়া দেখ। যদি সকলেই আমাদের বোঝা ফেলিয়া চলিয়া আসি, তবে কে ভার বহিবে ?. তোমাদের পশ্চাতে আমি এক দীনা চীরবসনপরিহিতা মূৰ্ত্তি সৰ্ব্বদ দেখিতে পাই । তোমাদের সহিত আমি তাহার অঞ্চলে আশ্রয় লই। আমি ভাষায় সে-সব কথা কি করিয়া প্রকাশ করিব ? তুমি বুঝিবে । ‘সাধারণতঃ লোকের যে-সব বন্ধন থাকে, তাহা হইতে আমি মুক্ত। কিন্তু আমি সেই অঞ্চল-ডোর ছেদন করিতে পারি না।••• ‘আমার হৃদয়ের মূল ভারতবর্ষে। যদি সেখানে থাকিয়া কিছু করিতে পারি, তাহা হইলেই জীবন ধন্ত হইবে । দেশে ফিরিয়া আসিলে যে-সব বাধা পড়িবে, তাহা বুঝিতে পারিতেছি না। যদি আমার অভীষ্ট অপূর্ণ থাকিয়া যায়, তাহাও সহ্য করিব। “...sofa experiment দিয়া বুঝাইলে নূতন মত প্রচারের সুবিধা হইবে। নতুবা অনেকেই বুঝিতে পারিবেন না। দুঃখের বিষয় এই যে Easterএর পূর্বেই আমার ছুটী ফুরাইয়া আসিবে। ছুটী চাহিতে ইচ্ছা করে না, আর চাহিলেও পাইব কিনা সন্দেহ। . “...এখন দুই বৎসর এখানে থাকিতে পারিলে অনেকটা শেষ করিতে *isfoto Physiological taboratory ইত্যাদি দেশে পাইব না । আমি কি করিব স্থির করিতে পারিতেছি না। এই সময়ে বাধা পড়িলে পুনরায় কয়েক বৎসর পর আরম্ভ করিতে অনেক সময় নষ্ট হইবে । 〉b>8
পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।