পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ৫ নিরস্তুর উৎসাহপূর্ণ পত্র লিখিয়া এক দিকে তাহার মনকে অবসাদ ও দ্বিধা হইতে মুক্ত রাখিতে চেষ্টত, অপর দিকে তাহার কর্মের আর্থিক ও আনুষঙ্গিক বাধা যাহাতে প্রবল হইয়া না উঠে সেজন্তও তিনি উদযোগী । তাহার নিজের অর্থসম্বল এ সময়ে ক্ষীণ, কিন্তু জগদীশবাবুর কার্ধ্যে আমি মান অপমান অভিমান কিছুই মনে স্থান দিতে পারি না— লোকে আমাকে যাহাই বলুক এবং যতই বাধা পাই না কেন তাহাকে বন্ধনমুক্ত ভারমুক্ত করিতে পারিলে আমি কৃতাৰ্থ হইব ।’ ইহা কেবল বন্ধুত্বের কার্য্য নহে, স্বদেশের কার্য্য” এই কথা মনে করিয়া ‘অভিমানকে সম্পূর্ণ বিসর্জন” দিয়া তিনি জগদীশচন্দ্রের জন্য অর্থসংগ্রহে ব্ৰতী হইলেন ; জগদীশচন্দ্রকে লিখিলেন, ‘তুমি তোমার কৰ্ম্মের ক্ষতি করিও না, যাহাতে তোমার অর্থের ক্ষতি না হয় সে ভার আমি লইব ।’ ইহাও লিখিলেন, ‘তুমি যাহ। করিয়াছ আমরা তাহার উপযুক্ত প্রতিদান কিছুই দিতে পারি না। আমি যে চেষ্টা করিতেছি তাহা কতটুকু এবং তাহার মূল্যই বা কি ?” এই ব্ৰতোদ্যাপনে রবীন্দ্রনাথের প্রধান সহায় ছিলেন ত্রিপুরার মহারাজা, তাহার প্রসঙ্গে সে কথা উল্লিখিত হইয়াছে। তৎকালে ভারতবর্ষে জগদীশচন্দ্রের কর্মক্ষেত্র কিরূপ বাধাসংকুল, রবীন্দ্রনাথ পূর্বাবধিই সে কথা জ্ঞাত ছিলেন ; জন্মভূমির প্রতি মমত্ববশত: জগদীশচন্দ্র দেশে ফিরিয়া আসিতে উৎসুক বুঝিতে পারিয়া রবীন্দ্রনাথ প্রস্তাব করেন যে, জগদীশচন্দ্র এ দেশে থাকিয়াই স্বাধীনভাবে কাজ করুন— ‘কাজ করে তুমি সামান্ত যে টাকাটা পাও সেটা যদি আমরা পুরিয়ে দিতে না পারি তাহলে আমাদের ধিকৃ’ । এ প্রস্তাব নানা কারণে জগদীশচক্সের ১ দ্রষ্টব্য বর্তমান গ্রন্থ, পৃ ১৩• ২ বর্তমান গ্রন্থ, পৃ ১৯ ও বর্তমান গ্রন্থ, পৃ ৭১ s বর্তমান গ্রন্থ, পৃ ১৭ وی اه