পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দারিদ্র্যের মধ্যে আসিয়া আশ্রয় লইতে হইবে— তখন তোমাকে সকলে খুজিয়া লইবে তুমি কাহাকেও খুজিবে না— তখন তোমার কাছে আসিতে ভারতবর্ষের কাছে সকলে মাথা নত করিবে— বিদেশী ছাত্রকে ডাকিবার জন্য বিদেশের প্ল্যানে প্রাসাদ রচনা করিলে চলিবে না— মাঠের মধ্যে কুটীরের মধ্যে মৃগচৰ্ম্মে যে বসিবে সেই তোমাকে পাইবে । ভারতবর্ষের দারিদ্র্যকে এমন প্রবল তেজে জয়ী করিবার ক্ষমতা বিধাতা আমাদের আর কাহারে হাতে দেন নাই— তোমাকেই সেই মহাশক্তি দিয়াছেন । যেদিন স্নিগ্ধ পবিত্র প্রভাতে প্রাতঃস্নান করিয়া কাষায় বসন পরিয়া তোমার যন্ত্রতন্ত্র লইয়া বিপুলচ্ছায়া বটবৃক্ষের তলে তুমি আসিয়া বসিবে— সেদিন ভারতবর্ষের প্রাচীন ঋষিগণ তোমার জয়শব্দ উচ্চারণ করিবার জন্য সেদিনকার পুণ্য সমীরণে এবং নিৰ্ম্মল সূৰ্য্যালোকের মধ্যে আবির্ভত হইবেন। ভারতবর্ষের সমস্ত শূন্ত প্রান্তর এবং উদার আকাশ তৃষিত বক্ষের ন্যায় ব্যাকুল প্রসারিত বাহুর হ্যায় সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করিয়া আছে । আমাদের ক্ষুদ্র শক্তি অনুসারে আমরাও সেই দিনের জন্য তপস্যা করিতে আরম্ভ করিয়াছি । আমাদের রাজা যে কেহ হউক, আমাদের আকাশ, আমাদের দিগন্তবিস্তীর্ণ মাঠ কে কাড়িয়া লইবে ? অামাদের জ্ঞানের অবকাশ, আমাদের ধ্যানের অবকাশ, আমাদের দারিদ্র্যের অবকাশ হইতে আমাদিগকে কে বঞ্চিত করিতে পারিবে ? অামাদের দেশে 8 ○