পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি সমস্তই মিটাইয়া লও– তুমি কিছুই ছাড়িয়ে না— আমি সহিতে পারিব— আমি আনন্দিত হইব । ঈশ্বর তাহার পরম দানগুলিকে দুঃখের ভিতর দিয়াই সম্পূর্ণ করেন— তিনি বেদনার মধ্য দিয়া জননীকে সন্তান দেন – সেই বেদনার মূল্যেই সস্তান জননীর এত অত্যন্তই আপন । সেই কথা মনে রাখিয়া, যখন ঈশ্বরের কাছে সত্য চাই, আলোক চাই, অমৃত চাই তখন অনেক _বেদনা অনেক ত্যাগের জন্য নিজেকে সবলে প্রস্তুত করিতে হইবে। মা, ঈশ্বর যদি তোমাকে বেদনা_দেন তবে নিজের দোষে সেই বেদনাকে ব্যর্থ করিয়ো না— তাহাকে সফল করিবার জন্ত সমস্ত হৃদয়মনকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করিয়া জাগ্রত হও । সংসারের সমস্ত আচ্ছাদন আবরণের উদ্ধে জাগ্রত হও । মনে মনে বল, আমি ছবর্বল নই– বল আমি পরাস্ত হইব না— বল আমার ক্ষণিক জীবনের অন্তরালে অনন্ত জীবনের সম্বল রহিয়াছে, এ জীবনের সমস্ত জালই একে একে কাটিয়া যাইবেই কিন্তু সে সম্বল কোনোকালেই ফুরাইবে না, তাহা সূর্য্যের আলোর মত অক্ষয় । ঈশ্বর তোমার মধ্যে যে মহিমা স্থাপন করিয়াছেন তাহাকে সম্পূর্ণ করিয়া দেখ— নিজেকে দীন বলিয়া তুবর্বল বলিয়া ছোট বলিয়৷ অপমান করিয়োনা, কারণ, তাহা কখনই সত্য নহে । তোমার অন্তরাত্মার মধ্যেই বিজয়লক্ষ্মী বসিয়া আছেন তাহাকে দেখিলেই তোমার আর কোনো ভয় থাকিবে না— তুমি যে কি মহৎ তাহা নিঃসংশয়ে বুঝিতে পারিবে— তুমি ঈশ্বরের আনন্দের ধন— এই বার্তা নিজেকে শুনাইয়া দাও যাহাঁই ঘটুক, ঘটনা সমস্তই তোমার O