পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હૈં বোলপুর কল্যাণীয়াসু তুমি আমাকে যে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছ তার উত্তর দিতে আমি সঙ্কোচ বোধ করচি । একটি কথা তুমি নিশ্চয় জেনো ব্রাহ্ম পরিবারে যদিও আমার জন্ম তবু ঈশ্বর উপাসনা সম্বন্ধে আমার মন কোনো সংস্কারে আবদ্ধ হয় নি । তার একটা কারণ, অতি শিশুকালেই আমার মধ্যে কবি প্রকৃতি অত্যন্ত প্রবলভাবে জেগে উঠেছিল— আমি আমার কল্পনা নিয়েই সৰ্ব্বদা ভোর হয়ে ছিলুম– ধৰ্ম্ম প্রভৃতি সম্বন্ধে কে কি বলে বাল্যকালে তা আমার কানেও যায় নি । তার পরে আমার বয়স যখন ১৩১৪ তখন থেকে আমি অত্যন্ত আনন্দ ও আগ্রহের সঙ্গে বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করেছি —তার ছন্দ রস ভাষা ভাব সমস্তই আমাকে মুগ্ধ করত। যদিও আমার বয়স অল্প ছিল তবু অস্ফুট রকমেও বৈষ্ণব ধৰ্ম্মতত্বের মধ্যে আমি প্রবেশ লাভ করেছিলুম-l এই_বৈষ্ণবকাব্য এবং চৈতন্যমঙ্গল প্রভৃতি কাব্য অবলম্বন করে চৈতন্তের জীবনী আমি অনেকবয়স পর্য্যন্ত বিশেষ উৎসাহের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এমন কি, আমাদের সমাজের ধৰ্ম্মালোচনার সঙ্গে আমি বিশেষ যুক্ত ছিলুম না— সম্পূর্ণই উদাসীন ছিলুম। তার পরে আমার স্বদেশ অভিমানও বাল্যকাল