পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্যার মধ্যে আমি সমস্তকেই চাই তাকে যতই বিশেষের মধ্যে গণ্ডী দিয়ে বাধব ততই তিনি আমার আত্মাকে কোথাও না কোথাও এমন বাধা দেবেন যে অবশেষে তিনিও দশের মধ্যে একজন হয়ে উঠবেন। একটি কথা ভেবে দেখো আমাদের দেশে দেবতা কেবলমাত্র মূৰ্ত্তি নন— অর্থাৎ কেবল যে আমরা আমাদের ধ্যানকে বাইরে আকৃতি দিয়েছি তা নয়— তার জন্মমৃত্যু বিবাহ সন্তানসন্ততি ক্রোধ দ্বেষ প্রভৃতি নানা ইতিহাসের দ্বারা অত্যন্ত আবদ্ধ— সে সমস্ত ইতিহাসকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে গেলে নিজের বুদ্ধিকে একেবারেই অন্ধ করতে হয় এবং সে সমস্ত ইতিহাসকে সত্য বলে বিশ্বাস করলে ভগবানের সাৰ্ব্বভৌমিকত একেবারে চলে যায়— তিনি নিতান্ত আমাদের দেশের ও গ্রামের মানুষটি হয়ে পড়েন— সেইরকম বেশভূষা স্বানাহার আচারব্যবহার । অথচ তিনিই আমাদের একমাত্র যাকে অবলম্বন করে, আমাদের চিত্ত দেশ ও জাতিগত সমস্ত সঙ্কোচ অতিক্রম করে বিশ্বের সঙ্গে মিলিত হবে — তাকে অবলম্বন করে আমাদের সৰ্ব্বত্র প্রবেশাধিকার বিস্তৃত হবে। কিন্তু আমাদের দেশে ধৰ্ম্মই মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রভেদ ঘটিয়েছে । আমরাই ভগবানের নাম করে পরস্পরকে ঘৃণা করেছি, স্ত্রীলোককে হত্যা করেছি, শিশুকে জলে ফেলেছি, বিধবাকে নিতান্তই অকারণে তৃষ্ণায় দগ্ধ করেছি, নিরীহ পশুদের বলিদান করচি— এবং সকল প্রকার צס\