পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া দিতে হইবে। আজ আমাদের সম্মুখের সমুদ্রে ঢেউ উঠিতেছে দেখিয়া মনকে অভিভূত হইতে দিয়ে না— মনে করিয়োনা আমাদের তরীর কর্ণধার কেহই নাই— কর্ণধার তখনি থাকেন না, নৌকা যখন কেবলি পুরাতন ঘাটে বাধা পড়িয়া থাকে – তখন তাহার পাল গুটানো, তাহার হাল নিশ্চল, তাহার সমস্তই ব্যর্থ —তখনি তাহার মাঝিকে ডাকিয়া পাওয়া যায় না । কিন্তু চিরউন্নতিশীল মনুষ্যত্বের পথে চলিবার জন্য প্রস্তুত হইলেই মাঝি র্তাহার হালের কাছে আসিয়া বসেন— তখন আর ঝড়তুফানকে ভয় কিসের ? অবসাদকে পোষণ করিবনা, মাটির উপর মুখ দিয়া বুক দিয়া পড়িয়া থাকিবনা, অতি পুরাতন অতীতের মধ্যে সমস্ত আশা-ভরসাকে চিরদিনের মত বদ্ধ করিয়া রাখিবনা এই আমাদের পণ হউক ! ইতি ১৬ই মাঘ ১৩১৮ শুভানুধ্যায়ী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 8 *