পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vost ২৮ ডিসেম্বর ১৯১৪ खै শাস্তিনিকেতন বোলপুর কল্যাণীয়াসু মাতঃ, আমি কিছুকাল ধরিয়া ভ্রমণে ফিরিতেছিলাম— এখানকার কেহই আমার ঠিকানা জানিতেন না । সেই জন্য তোমার ছুইখানি পত্র আমি বহুদিন পরে পাইয়াছি। আবার আমি ঘুরিতে চলিব । বসিয়া থাকার কাজ আমি ত একরকম সারিয়া লইয়াছি —এখন আর আপিস চলেনা— দিনের শেষে বাহির হইয়া পড়িবার সময় আসিয়াছে। বসিয়া থাকিলেই বোঝা বাড়িয়া ওঠে— চলিয়া চলিয়া সে সমস্ত ক্ষয় করিয়া ফেলিতে হয়। অনেকদিনের অনেক বোঝা এবার ক্ষয় করিয়া তবে ত খালাস পাইব । সংসারের পথ চলায় তোমাদের আমি কিছুমাত্র সাহায্য করিতে পারি এমন ক্ষমতা আমার আছে কি, মা ! ভগবান আমার হাতে একটা খঞ্জনী দিয়াছিলেন সেইটে বাজাইয়া বাজাইয়া এতদিন গান গাহিয়া ফিরিয়াছি— ভিক্ষাই ত ছিল আমার সম্বল । এবার ভিক্ষাপাত্র ভাঙিবার চেষ্টায় আছি— গানও বন্ধ করিবার সময় আসিয়াছে, তোমাকে এই আশীৰ্ব্বাদ করিয়া যাইতেছি জীবনের সমস্ত সুখ দুঃখের ভিতর দিয়া এমন সত্য হইয়া ওঠ যে ঈশ্বর তোমাকে গ্রহণ করিতে কোনো বাধা না পান। ১৩ পৌষ ১৩২১ শুভানুধ্যায়ী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর