পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ૨ ১৫ এপ্রিল ১৯১৬ কল্যাণীয়াসু মা, তুমি আমার নববর্ষের আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ কর । তোমার চিঠি পড়ে অনেকবার আমার এই কথা মনে হয়েচে যে, মুক্তিকে তুমি ভয় কর এবং বন্ধনকে তুমি আশ্রয় মনে করেচ । এই জন্যেই একটা আবরণের থেকে আর একটা আবরণের মধ্যে যাবার জন্যে তোমার আকাঙ্ক্ষা জন্মায়। নিৰ্ম্ম,ক্ত মনে সত্যকে তার নিৰ্ম্মল স্বরূপে গ্রহণ করবার সাধনাতেই মানুষ যথার্থ শক্তি পায় । অর্থাৎ মানুষের মধ্যেই সেই শক্তি সত্য যে সত্য নিজের আলোকেই আত্মার সঙ্গে বিশ্বাত্মার পরমাত্মার অবাধ যোগ উপলব্ধি করে অমৃতত্ব প্রাপ্ত হয় । নিজের মনকে এবং অন্যের মনকে তুৰ্ব্বল করবার অভ্যাস কোরোনা । সাহস করে নিজের মহৎ অধিকারকে স্বীকার কর । চৈতন্যকে আবৃত করে বুদ্ধিকে খণ্ডিত করে আত্মাকে চিরদিন বঞ্চিত কোরোন । অামি কাল রবিবারে কলকাতায় যাব । সেখান থেকে শীঘ্রই সিংহলের পথে জাপান হয়ে আমেরিকায় যাবার আয়োজন করচি । ছোট ছেলেকে শিক্ষার প্রণালী কোনো বই থেকে পাবে না। আমি ছেলেদের বই দেখে শেখাই নে। মুখে বলে’, বলিয়ে ཞི གི་