পাতা:চিত্রা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১০০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
আবেদন।
৯১

নক্ষত্রের নিত্য নীরবতা। বহু ভৃত্য
আছে হোথা, বহু সৈন্য তব, জাগে নিত্য
কতই প্রহরী! এ পারে নির্জ্জন তীরে
একাকী উঠেছে ঊর্দ্ধে উচ্চ গিরিশিরে
রঞ্জিত মেঘের মাঝে তুষারধবল
তোমার প্রাসাদ-সৌধ,—অনিন্দ্য নির্ম্মল
চন্দ্রকান্ত মণিময়। বিজনে বিরলে
হেথা তব দক্ষিণের বাতায়ন তলে
মঞ্জরিত ইন্দুমল্লী বল্লরী বিতানে,
ঘনচ্ছায়ে, নিভৃত কপোত-কলগানে
একান্তে কাটিবে বেলা; স্ফটিক প্রাঙ্গণে
জলযন্ত্রে উৎসধারা কল্লোল-ক্রন্দনে
উচ্ছসিবে দীর্ঘ দিন ছল ছল ছল-
মধ্যাহূেরে করি দিবে বেদনা-বিহ্বল
করুণা-কাতর; অদূরে অলিন্দপরে
পুঞ্জ পুচ্ছ বিস্ফারিয়া স্ফীত গর্ব্বভরে
নাচিবে ভবন শিখী-রাজহংসদল
চরিবে শৈবাল বনে করি কোলাহল
বাঁকায়ে ধবলগ্রীবা; পাটলা হরিণী
ফিরিবে শ্যামল ছায়ে; অয়ি একাকিনী,