পাতা:চিত্রে জয়দেব ও গীতগোবিন্দ.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গীতগোবিন্দ

আমরা রাধাকৃষ্ণের রমণের যে বর্ণনা পাই, সে হলো দেহ-প্রতীককে আশ্রয় করে দেহাতীতের সঙ্গে রমণের স্বাদ। মানুষ জীব-দেহে যে চরম-আনন্দের বাস্তব স্বাদ পায়, সে হলো রমণের স্বাদ। সেই এক আত্মবিস্মৃত আনন্দ-মুহূর্ত্তে সমস্ত পার্থিব দৈন্য ও অস্বাচ্ছন্দ্যকে ভুলে মানুষ ক্ষণিকের জন্যে দেহাতিরিক্ত আর-এক আনন্দের কণামাত্র আভাস পায়। সেইটুকু হলো মানুষের জানা আনন্দের অভিজ্ঞতা। বৈষ্ণব কবিরা সেই জানা অভিজ্ঞতার আশ্রয় নিয়ে অজানা সেই মহানন্দকে, অনাস্বাদিতপূর্ব্ব আত্মার রমণের আনন্দকে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। ব্রহ্মানন্দ-স্বাদকে প্রকাশ-যোগ্য ভাষার প্রতীকে বোঝাতে হলে, এ ছাড়া মানুষের হাতে যোগ্যতর আর কোন উপায় বা অবলম্বন নেই। শ্লীলতা-অশ্লীলতার প্রশ্ন এখানে ওঠে না।