ধৰ্ম্ম-প্রণালী । * }; বিহীন হইয়। সৰ্ব্বদাই স্থির ভাবে অবস্থিতি করে ; কৰ্ম্ম-নিৰ্ব্বন্ধু-মুক্তি, মিস্কাম, ও অজ্ঞানই ইহার সার তাৎপৰ্য্য। চির-মুখ লাভ করিতে হইলে; নিরবচ্ছিন্ন যোগ ও ইন্দ্রিয়দমন দ্বারা উক্ত কারণের সদ্ধিশ্যাবলম্বন করিতে হইবে ; এবং তৎসছশ হইবার নিমিত্ত আমরা কোন কৰ্ম্মে আসক্ত হইব। না । অস্তিত্ব হইতে নিৰ্বত্ত, অর্থাৎ শূন্যে লীন হইলেই সকল পবিত্রত লাভ হয় ; মনুষ্য যত শীঘ প্রস্তর বা কাষ্ঠের স্বভাব প্রাপ্ত হয়, ততই সে পুর্ণাবস্থার নিকটবৰ্ত্তী হইতে থাকে ; বস্তুতঃ অচৈতন্য ও সর্ববৃত্তি নিবৃত্তিতেই সকল পুণ্য ও মুখ জন্মে। যে মুহূৰ্ত্তে মনুষ্য এই পুর্ণাবস্থা প্রাপ্ত হয়, তদবধি তাহার আর পরকাল, পর জন্ম, পরিবর্তন কিছুরই ভয় থাকে না ; কারণ র্তাহার অস্তিত্ত্বের শেষ হইয়াছে, এবং তিনি বুদ্ধদেবের স্বরূপ প্রাপ্ত হইয়াছেন" । . مهم এই মত যত অসঙ্গত হউক না কেন, চীনে ইহা বিলক্ষণ সমাপ্তত হইয়াছে । ইহা একবারে নীতিশাস্ত্রের বিনাশ, সমাজের ধ্বংস, এবং যে পরস্পর সম্বন্ধ-স্বারা মনুষ্যগণ একত্রে আবদ্ধ স্বাঙ্কে ফ্লাহর সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করিতেছে।
পাতা:চীনের ইতিহাস (কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/২৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।