এই সকল চীনে বড় বজরা ও কিস্তী নৌকা (জাঙ্ক) ও সাম্পান ছাড়া বন্দরে বিস্তর অর্ণবপোতও দেখ্লাম। নানা দেশের ছোট বড় নানা আকারের অর্ণবপোত নানা রকমের নিশান উড়িয়ে গতায়াত করিতেছে। তার মধ্যে অনেক গুলিতেই “ড়্রাগন” আঁকা নিশান উড়িতেছে। ইংলেণ্ডের যেমন “ইউনিয়ন জ্যাক,” চীন রাজ্যের তেমনি “ড্রাগন” —গিরগিটির মত এক রকম জানোয়ার অঙ্কিত নিশান। লাল কালো হল্দে রঙে ড্রাগন আঁকা, —দেখলে মনে হয় যেন যথার্থই হাঁ ক’রে কামড়াতে আসছে! চীনারাজ্য নিকটে ব’লে সকল জাতিই এখানে চীনে নিশান উড়ায়। এই সকল জাহাজের মধ্যে অনেকগুলিই রণতরী,—মানোয়াবী জাহাজ ও ক্রুজার জাতীয় জাহাজ দিনের মধ্যে দশ পোনের খানি যাতায়াত করে। তাহাদের সম্ভাষণার্থ হংকং এর নিকটস্থ কাউলন কেল্লা হইতে অহরহ তোপধ্বনি শুনা যায়। চীন সমুদ্রে গিয়া অবধি আমার সর্বদাই রুষ-জাপান যুদ্ধের কথা মনে হ’ত। সকল সভ্য দেশেরই রণতরী, পাছে কোন গোলমাল উঠে এই আশঙ্কায়, সদাই যুদ্ধার্থ সুসজ্জিত আছে। জাহাজের সকল লোকের মুখেই রুষ-জাপান যুদ্ধের কথা।
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে উইকিসংকলন:ছবি ব্যবহারের নির্দেশাবলী এবং সাহায্য:চিত্র যোগ দেখুন। |