পাতা:চূর্ণ প্রতিমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দারোগার দপ্তর, ১৬৮ সংখ্যা।

 আ। সেখানে গিয়া কি দেখিলে?

 ন। দেখিলাম, জহর সেই অল্প সময়ের মধ্যে উন্মাদ পাগল হইয়া গিয়াছে। জহরের বৃদ্ধ পিতা এখনও বর্ত্তমান। তিনি বলিলেন, জহর বাড়ীতে আসিয়া, নিজের ঘরে বসিয়া আপনাআপনি কি বকিতেছিল। তিনি তাহাকে স্নানাহারের কথা বলিলে পর জহর ভয়ানক হাস্য করিতে লাগিল। অনেকক্ষণ হাসিয়া জহর দাঁড়াইয়া উঠে এবং বেগে তাহার পিতার নিকট আসিয়া তাঁহাকে আক্রমণ করে। এখনও বৃদ্ধের হাতে, মুখে ও বুকে অনেক দাগ দেখিতে পাওয়া যায়। অনেক কষ্টে অব্যাহতি পাইয়া বৃদ্ধ কতকগুলি প্রতিবেশীর সাহায্যে জহরের হাতে হাতকড়ি দিতে পারিয়াছেন।

 আ। জহর এত শীঘ্র পাগল হইয়া গেল কেন, জান?

 ন। আজ্ঞে না, সে কথা বলিতে পারিলাম না, কিন্তু জহর পাগল হওয়ায় আমার যথেষ্ট ক্ষতি হইল।

 আ। কেন? আর একজনকে শিখাইয়া লইতে পার। জহরকে শিখাইয়াছিল কে?

 ন। আজ্ঞে আমি।

 আ। তবে আর ভাবনা কিসের?

 ন। জহর একদিনে ভাল কারিগর হয় নাই। একটা লোককে ক্রমাগত দশ বৎসর শিখাইলেও জহরের মত কারিগর হইতে পারে কি না বলা যায়না। মনে করিবেন না, আমাদের কার্য্য অতি সহজ।

 আ। যতদিন না আর কোন লোক শিক্ষিত হয়, ততদিন তুমি স্বয়ং ওগুলি গড়িবে। ঐ পুতুলগুলির কাট্‌তি কেমন?