জানিয়া আপনাকে রূঢ় কথা বলিয়াছি। আমার অপরাধ মার্জ্জনা করুন। আমার ছেলেটী হঠাৎ পাগল হইয়া গিয়াছে, তাহাকে আরোগ্য করিয়া দিন। আমার এই দুই পুত্র ছাড়া আর কেহ নাই, দেখিবেন, এই বৃদ্ধবয়সে যেন পুত্রশোক পাইতে না হয়।”
এই কথা বলিতে বলিতে বৃদ্ধ কাঁদিয়া ফেলিল। বৃদ্ধের অবস্থা দেখিয়া আমার দয়া হইল। বলিলাম, “তুমি কাঁদিতেছ কেন? তোমার পুত্ত্র আরোগ্য লাভ করিবে। আমি আজই একটা ঔষধ দিয়া যাইতেছি। চল, তোমার পুত্ত্র কোথায় আছে দেখিয়া আসি।”
বৃদ্ধ আমাকে লইয়া যে ঘরে তাহার পুত্ত্র ছিল, সেই ঘরের দ্বারে আসিল। বলিল, আমি আর ভিতরে যাইব না। আপনি ঘরের ভিতরে যান্।”
বৃদ্ধের কথা শুনিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তুমিও কেন আমার সঙ্গে চল না?”
বৃ। না মহাশয়! আমায় দেখিলে জহর আরও ক্ষেপিয়া উঠে। কি জানি, আমার উপর তাহার এত আক্রোশ কেন হইল।
আ। আমার সঙ্গে আইস। আমি কাছে থাকিলে তোমায় কিছু বলিবে না। জহর কি কেবল তোমায় দেখিলেই রাগান্বিত হয়?
বৃ। আজ্ঞে হাঁ। আরও অনেক লোক জহরকে দেখিতে আসিয়াছিল; কিন্তু জহর তাহাদিগের উপর কোনরূপ অত্যাচার করে নাই; বরং তাহাদের সহিত ভাল রকমে কথাবার্ত্তা কহিয়াছিল।