আ। কে তোমায় যাইতে দেয় না।
জ। বাড়ীর লোকে।
আ। কে বাড়ীর লোক? তোমার পিতা?
জ। না, আর সকলে।
আ। তোমার ভাই?
জ। না, আর সকলে।
আ। তবে আর সকল কে?
জহর কোন উত্তর করিল না, মুখ টিপিয়া হাসিতে লাগিল। আমি তাহার মনোগত অভিপ্রায় বুঝিতে পারিলাম। জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার স্ত্রী?”
এক গাল হাসি হাসিয়া জহর উত্তর করিল, “হাঁ।”
আ। তুমি এখন সেই রকম কাজ করিতে পারিবে?
জ। বোধ হয় না।
আ। কেন?
জ। মাখার ভিতর কেমন একট! গোলযোগ হইয়াছে, কি করিতেছি, কি বলিতেছি, কিছুই আমার মনে নাই। আমার হাত পা সদাই যেন কাঁপিতেছে। হাত ঠিক না হইলে, পুতুল-গড়া হয়না।
আ। লোকে তোমায় পাগল বলিতেছে, কিন্তু আমার সঙ্গে তুমি যে রকম ভাবে কথা কহিতেছ, তাহাতে আমি পাগলের কোন লক্ষণই দেখিতে পাইতেছি না। মধ্যে মধ্যে ক্ষেপিয়া উঠ কেন?
জ। কেন বলিতে পারি না। বোধ হয়, আমায় যেন কে মারিতেছে, কে যেন আমায় ধমকাইতেছে, কে যেন আমায় তাড়া করিতেছে। তখন আমি কি করি, কি বলি,আমার জ্ঞান থাকে না।