পাতা:চূর্ণ প্রতিমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
দারোগার দপ্তর, ১৬৮ সংখ্যা।

হইয়াছিল। জহর আমার তেমন নয়। সে যাহাই হউক, আপনারা যাহা করিতে আসিয়াছেন করুন। আমি আাপনাদিগকে বাধা দিব না।

 আমাদিগের এইরূপ কথাবার্ত্তার পর, ইন্‌স্পেক্টার মহাশয় কনষ্টেবলদিগকে ইঙ্গিত করিলেন। কনষ্টেবলগণ তন্ন তন্ন করিয়া বৃদ্ধের বাড়ী অন্বেষণ করিল, কিন্ত কোথাও সেই হীরাখানিকে পাওয়া গেল না।

 প্রায় দুইঘণ্টা ধরিয়া চারদিক দেখিবার পর আমরা বিমর্ষভাবে পুলিসে ফিরিয়া আসিলাম।

 পুলিস হইতে যখন বাড়ী ফিরিলাম, তখন বেলা পাঁচটা বাজিয়া গিয়াছে। সে দিন আর কোন কাজ করিতে ভাল লাগিল না, কোথায়, কি করিয়া হীরাখানি পাইব, তাহাই চিন্তা করিতে লাগিলাম।

 পরদিন অফিসে বসিয়া আছি, এমন সময় একজন পুলিস-কর্ম্মচারী তথায় উপস্থিত হইলেন; বলিলেন, “শুনিয়াছেন মহাশয়! পুলিসের কাজে আপনি চুল পাকাইয়াছেন, কখন কোন পাগলকে চুরি করিতে শুনিয়াছেন?”

 ইন্‌স্পেক্টার মহাশয়ের সহিত আমার যথেষ্ট সদ্ভাব, ছিল। আমি তাঁহাকে অতি সমাদরে অভ্যর্থনা করিয়া একখানি চেয়ারে বসিতে বলিলাম। তাহার পর জিজ্ঞাসা করিলাম, “ব্যাপার কি?”

 ই। এমন কিছু নয়। তবে এক পাগল চুরি অপরাধে ধরা পড়িয়াছে।

 আ। কে সে পাগল? তাহার নাম কি?