বাড়ীর কর্ত্তার নাম সুধীন্দ্রনাথ। তাঁহার বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশ বৎসর। তাঁহাকে দেখিতে খর্ব্বাকৃতি, হৃষ্টপুষ্ট ও গৌরবর্ণ। কালা পেড়ে একখানি পাতলা দেশী ধুতি পরিয়া, খালি গায়ে, একজোড়া চটীজুতা পায়ে দিয়া, তিনি এতক্ষণ আমার সহিত চারিদিকে ঘুরিতে ছিলেন। আমার প্রশ্ন শুনিয়া উত্তর করিলেন, “আজ্ঞে না, কোন জিনিষ চুরি যায় নাই। আপনিই দেখিলেন, আমার অনেক টাকার জিনিষ নষ্ট হইয়াছে। কিন্তু বলিতে কি, একটী কড়ার জিনিষ ও চুরি যায় নাই।’
আ। কখন আপনারা এই ব্যাপার জানিতে পারেন?
সু। আজ প্রাতে।
আ। কে প্রথমে দেখিতে পায়?
সু। আমার এক চাকর।
আ। চোর ধরিল কে?
সু। সেই চাকর।
আ। কোথায় সে? আমি তাহার মুখের গোটাকতক কথা শুনিতে চাই?
সুধীন্দ্রনাথ তখনই “সদা সদা” বলিয়া চীৎকার করিলেন। দূর হইতে একজন উত্তর করিল, “যাই।”
কিছুক্ষণ পরে একজন ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ উৎকলনিবাসী যুবক সুধীন্দ্রবাবুর নিকটে আসিল। সুধীন্দ্রনাথ তাহাকে দেখাইয়া বলিলেন, “এই লোক চোর ধরিয়াছে।”
আমি তাহাকে ভাল করিয়া দেখিলাম। বলিলাম, “তুমিই চোর ধরিয়াছ?”
সদা অতি বিনীতভাবে উত্তর করিল, “আজ্ঞে হাঁ; কিন্ত